সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মহিলা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে ৬০ শতাংশ মহিলা কোটা পূরণ করে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেয়া হবেনা তা জানতে চেয়ে ৪ সাপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রড়ান্ত ফলে ৬০ শতাংশ মহিলা কোটায় পূরণ করে রিটকারী মহিলা প্রার্থীদের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে নির্বাচিত না করা কেন অবৈধ হবেনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সাথে রিটকারীদের জন্য ২৯টি সহকারী শিক্ষকের পদ সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি এ এফ এম নাজমুল হাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৪ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৩ এর ৭ বিধিতে বলা হয়েছে, সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলোর ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা পুরণ করতে হবে। চূড়ান্ত ফলে ৬১ জেলায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। চূড়ান্ত ফলে মহিলা প্রার্থীদের তুলনায় পুরুষ প্রার্থীদের বেশি নির্বাচিত করা হয়েছে। মহিলা কোটা সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করে পূর্ণাঙ্গ ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ভোলা জেলায় সর্বমোট ৩৪৪ প্রার্থীকে চূড়ান্ত ফলে নির্বাচিত হয়। তার মধ্যে ১২৭ জন মহিলা ও ২১৭ জন পুরুষ প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। কিন্তু ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০৬ জন মহিলা প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার হকদার। তাই, ৬০ শতাংশ মহিলা কোটায় নিয়োগের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন ভোলা জেলার প্রার্থীরা। রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।