সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ উঠে আসছে। অন্যদিকে বদলি নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা অফিসগুলোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ৩ জন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এদিকে শুধু দুর্নীতিবাজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়, দুর্নীতির প্রশ্রয়দাতাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের নেতারা।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। অথচ শিশু শিক্ষা তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রায় সর্বত্র এখনো চাঁদাবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। প্রাথমিকে প্রায় ২ বছর যাবৎ অনলাইনে বদলি নিয়ে সময়ক্ষেপন মন্ত্রণালয়সহ ডিজি অফিসে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্য হওয়ার গুঞ্জন শোনা গেছে।
এদিকে প্রাথমিকের সমস্যা সমাধানে ধীর গতি নেতৃত্ব খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে আন্দোলনের পরিবর্তে মামলা নামে বিশাল অংকের চাঁদা আদায়ে লিপ্ত হয়েছেন। জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেতারা এ অশুভ সূচনা করেছেন বলে জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কতিপয় কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভুত কিছু আদেশ করেছেন বলে দেখা গেছে। যা অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের ওভারড্রন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের লাখ লাখ টাকা ওভারড্রনের যন্ত্রণা মামলা মোকদ্দমা নেতাদের দুর্নীতির প্রসারে সহায়ক হয়েছে। যার ফলে পদোন্নতি বঞ্চিতরা তাদের অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছেন। শুরু হয়েছে নব্য সরকারি ও পুরাতন সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতৃত্বের মাঝে চাঁদাবাজির প্রতিযোগিতা। যদি ওভারড্রন না হতো ও প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি বন্ধ না হতো তবে এ প্রতিযোগিতার দৃশ্য দেখা যেত না। সংশ্লিষ্টরা এ প্রতিযোগিতা শুধু দেখছেন আর দেখছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক ১০ম গ্রেড, সহকারীদের ১১তম গ্রেড শিশু শিক্ষায় কর্মঘন্টার বৈষম্য, টাইমস্কেল প্রদানে মাত্রাতিরিক্ত সময়ক্ষেপন প্রাথমিক শিক্ষকদের ঠেলে দিচ্ছে চাঁদাবাজ নেতাদের কাছে। চাঁদাবাজদের কবলে পড়ে শিশু শিক্ষার কারিগরদের চরিত্র হরণ করা হচ্ছে। দুর্নীতির আশ্রয়দাতারা শুধু এ দৃশ্য অবলোকন করছে। সমস্যা সমাধানে দীর্ঘসূত্রিতা প্রাথমিক শিক্ষা আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবান্ধব সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। দুর্নীতি বা চাঁদাবাজি থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের পরিত্রান দেয়ার জন্য সবার আগে প্রয়োজন দ্রুত প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধান। তখন থাকবেনা বিষ বাঁশি, বাজবেনা দুর্নীতির সুর। আজকের দিনে দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দুর্নীতি দমন কমিশনকে এগিয়ে আসার আহ্বান রইল।