পদের প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তির অভিযোগে ১২ শিক্ষককে শোকজ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে এসব শিক্ষককে শোকজ নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, এইচএসসি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাক্রমের এমপিও নীতিমালা-১৯৯৫ অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক পদের প্রাপ্যতা ছিল না। তাই ২০১০ খ্রিস্টাব্দের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো জারি করার আগে বিএম শিক্ষাক্রমে সহকারী অধ্যাপক পদে এমপিওভুক্তির সুযোগ নেই। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দের পূর্বেই পদের প্রাপ্যতা হওয়ার আগেই সহকারী অধ্যাপক পদে এ ১২ শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে তাদের শোকজ করা হয়েছে বলে দৈনিক শিক্ষাকে জানিয়েছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র।
শিক্ষকরা হলেন, কুড়িগ্রাম জেলার মজিদা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. হামিদুর রহমান, ঢাকার মোহাম্মদপুরের আলহেরা টেকনিক্যাল এন্ড কমার্স কলেজের সহকারী অধ্যাপক রোজিনা পারভীন, রাজবাড়ীর ড. কাজী মোতাহার হোসেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আওয়ালুজ্জামান, ঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট কলেজের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম এনামুর রশিদ, কক্সবাজারের শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. ইব্রাহীম, কক্সবাজারের আলমগির ফরিদ বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক প্রদীপকুমার রুদ্র, নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল হক, সাতক্ষীরার শেখ আমানুল্লাহ কলেজের সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম কামরুজ্জামান, টাঙ্গাইলের মাও. আ. হামিদ খান ভাসানী কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান মো. মামুন শাহ, পাবনার দি ইসামতি এস এস কমার্শিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পাবনা ইসলামিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং বরিশালের শহীদ এ আর সেরনিয়াবাত ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিমল চন্দ্র কর।
১২ শিক্ষককে পাঠানো শোকজ নোটিসে, ‘পদের প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ২০১০ খ্রিস্টাব্দের জনবল কাঠামো জারির পূর্বে বিধি বহির্ভুতভাবে সহকারী অধ্যাপক পদে এমপিওভুক্ত হয়ে বেতনভাতা গ্রহণ করায় কেন তাদের এমপিও বাতিল করা হবে না”’। যথাযথ প্রমাণসহ তার ব্যাখ্যা ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।