প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়া প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসনকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়ে তার নাম ক্যাম্পাসের একটি ভবন থেকে সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি।
নিউজার্সির প্রিন্সটনের বিশ্ববিদ্যালয়টির পাবলিক পলিসি স্কুল ও একটি আবাসিক কলেজ থেকে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের নাম মুছে অন্য নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার পর চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিল প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়। খবর এএফপির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার এইসগ্রুবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, উড্রো উইলসনের বর্ণবাদী চিন্তাধারা ও নীতির কারণে তার নাম এখানে ‘অনুপযুক্ত’ হয়ে পড়েছে। কেননা এখানকার পণ্ডিত, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীদের অবস্থান সব ধরনের বর্ণবাদের বিরুদ্ধে।
উইলসন ১৯১৩ থেকে ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন লিগ অব নেশনসের প্রস্তাবক, যেটি পরে জাতিসংঘে রূপ নেয়।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে নিউজার্সির গভর্নর ছিলেন উইলসন। এর আগে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্র শক্তির নেতৃত্ব দেন।
বর্ণবাদী নীতির কঠোর সমর্থক ছিলেন উইলসন। যখন প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন এই প্রতিষ্ঠানে কালো শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে দিতেন না। সাদা আধিপত্যবাদীদের সমর্থন দিতেন।
তার এসব চিন্তা ও নীতির তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির পাবলিক পলিসি স্কুলের এখন থেকে নাম হবে প্রিন্সটন স্কুল অব পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।