নওগাঁর পত্নীতলায় প্রেমে বাধা দেয়ার অপরাধে ওয়াজকুরুনী (১৭) নামে সদ্য শেষ হওয়া এক দাখিল পরীক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নরটুলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত দুই আসামি হলো কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বেলঘরিয়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে মো. ফাহিম (২৬) ও আকবরপুর ইউনিয়নের চকমহেশ টিয়া পাড়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. আজিজ (২৫)। অপরদিকে ওয়াজকুরুনী কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নরটুলি গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে। সে এবছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে ওয়াজকুরুনী পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডেন ১৯নং বেডে ভর্তি আছে। ওয়াজকুরুনীর বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার হাসনা হেনা খামন বলেন, ‘তার ক্ষতস্থাতে ১৩টি সেলাই আছে। সে এখন অনেকটায় সুস্থ
এ ব্যাপারে ওয়াজকুরুনী বলেন, ‘গতকাল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে পারিবারিক কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে সুবরাজপুর মোড়ে যাওয়ার জন্য রওনা দিলে রাস্তায় ফাহিম ও আজিজ কথা বলার জন্য দাঁড় করায়। কিন্তু কোনো কথা না বলার সুযোগ দিয়ে ছুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে আমি তাদের আটকানোর চেষ্টা করি। এতে করে ছুড়িটি আমার হাতে এসে লাগে। আমার আপরাধ আমি তাদের প্রেমে বাধা দিয়েছি।’
এ ব্যাপারে ওয়াজকুরুনীর বন্ধু ইয়ামীন বলেন, ‘কিছুদিন আগে বেলঘরিয়া গ্রামে আমরা মাহফিল শুনতে গেলে অনিচ্ছায় ফাহিমের সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং তখনি হত্যার হুমকি দেয়।’
ওয়াজকুরুনীর বাবা বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে পত্নীতলা থানায় মামলা করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর চাচা মো. মহসিন আলী বলেন, ‘আসামিরা আমার ভাতিজাকে তাদের প্রেমে বাধা দেয়ার কারণে তারা আমার ভাতিজাকে হত্যার জন্য আঘাত করে।’
এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা ফাহিমকে ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করি এবং মঙ্গলবার বিকেলে কোর্টে প্রেরণ করি। ওপর জন মো. আজিজকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়। তাকে আজ কোর্টে প্রেরণ করা হবে।’