সারা দেশে চলছে এইচএসসির প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা। একে ঘিরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যে পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া তা শুধু অশোভনই নয় উদ্বেগেরও বটে। এমনিতেই সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় চলছে এক ধরনের অস্থিরতা। পরীক্ষা পদ্ধতি—প্রশ্নের ধরন কী হবে? পিইসি-জেএসসি পরীক্ষার আবশ্যিকতা কতটুকু? কোচিং-গাইডবুক নিষিদ্ধ হবে কি না? পরিচালনা পর্ষদের দৌরাত্ম্য কিংবা হালে জাতীয়করণ প্রশ্নে ক্যাডার-ননক্যাডার দ্বন্দ্বে শিক্ষক তো বটে শিক্ষাঅধিকর্তারাও যেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়! এমন বাস্তবতায় উল্লিখিত বিষয়টিকে সামনে আনা অনেকটা ছেলেমানুষি— পাগলামি কি না কে জানে?
এই লেখার শিরোনাম দেখেই অনেকে হয়তো বিরক্ত হবেন, রাগে গজগজ করবেন—করুন। বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি এত বেশি ত্যক্ত-বিরক্ত যে কিছু না লিখলে মনের অস্থিরতা আসলে কমছে না। কেনইবা প্র্যাকটিক্যালের জন্য শিক্ষার্থীরা আজ জিম্মি। শিক্ষকের কড়া হুমকি! প্রাইভেট না পড়লে মিলবে না পুরো নম্বর। কেনইবা এলাকার মোড়ল-মাতব্বর পুরো পরীক্ষার সময় কেন্দ্রের বাইরে মহড়া দেবে? থিওরি পরীক্ষায় টেনেটুনে পাস বা ফেল করাদেরও কেন ২৫-ই পেতে হবে? সেদিন বোর্ডে খাতা আনতে গিয়ে চমকপ্রদ একটি ঘটনা শুনে এসেছি—একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলছিলেন, একটি ব্যবহারিক খাতা প্রয়োজনে পুনর্মূল্যায়ন করতে গিয়ে আমরা হতবাক হয়েছি। পুরো সাদা খাতায় একজনকে ২৫ দেওয়া হয়েছে। কেন?
লাখ টাকার প্রশ্ন? এমনটির পুনরাবৃত্তি রোধে বোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি? যদি না হয়ে থাকে তবে এটিকে প্রহসন বললে অত্যুক্তি হবে কি?
মাসুদ উর রহমান
পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক, কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম কলেজ, ইসলামপুর, বিজয়নগর,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া