ফরম পূরণ করা ছাড়াই পরীক্ষা দিতে উপাচার্যকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্তরা হলেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. রফিকুল ইসলাম তানিম। তাদের সহযোগিতা করতে উপাচার্যকে ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাইবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বিনয় ব্যানার্জি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে কোনো শিক্ষার্থীর সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। কিন্তু এদের ক্ষেত্রে সকল নিয়ম-নীতি উপেক্ষিত হয়েছে। এ দুজন ছাত্রলীগের কর্মী, শুধুমাত্র এ পরিচয়ের কারণে তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সাইন্স, টেক্সটাইল, যন্ত্রকৌশল, স্থাপত্য ও আইপি শাখার অনেক শিক্ষার্থী ৫০ শতাংশেরও কম ক্লাসে উপস্থিতি থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারছে না।
তারা আরও জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডার, অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়ে অর্থ উপার্জনসহ নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের এ দুই নেতা প্রশাসনকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করা হলেও কোনো পদক্ষেপ এখনো দৃশ্যমান হয়নি।