ফরম পূরণ না করেই প্রবেশপত্র পেয়েছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী। নির্বাচনী পরীক্ষায় তারা ফেল করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে সাগর ও সাইদুল পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যায়নি।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাগর ও সাইদুল ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয় ও চরজিথর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে বোর্ডে টিসির জন্য আবেদন করে। বোর্ড তা অনুমোদন দিলে তাদের ফরম পূরণসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়। এতেই এ দু'জন প্রবেশপত্র পেয়েছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, ফরম পূরণ না করেও শিক্ষা বোর্ডের দুই কর্মচারীর সহায়তায় প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষায় বসেছে ওই শিক্ষার্থীরা।
এদিকে বোর্ড ও সংশ্নিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একে অন্যকে দায় দিতে চেষ্টা করছে।
গৌরীপুরের ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসির টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ১৪ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা হয়নি। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন গৌরীপুরের আর কে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মনোয়ারা আক্তার ও হ্যাপি আক্তার এবং ঈশ্বরগঞ্জের চরজিথর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাগর আহমেদ ও সাইদুল ইসলামের প্রবেশপত্র পৌঁছে।
বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে এলে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়। চরজিথর স্কুল কেন্দ্রে সাগর ও সাইদুলের প্রবেশপত্র পাঠানোর পর বোর্ডের কর্মকর্তা পরিচয়ে মহসিন আলম রনি নামে এক ব্যক্তি অধ্যক্ষকে ফোন দিয়ে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান। রনি ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের সেকশন ক্লার্ক আনোয়ার কাদিরের খালাতো ভাই।
ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরোত্তম রায় বলেন, তার বিদ্যালয় থেকে দুই শিক্ষার্থী টিসি নেওয়ার আবেদন করেনি। সংশ্নিষ্ট শিক্ষার্থীরা বোর্ড কর্মচারী আনোয়ার কাদির ও মহসিন আলম রনির নাম উল্লেখ করলেও তাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে।
চরজিথর কলেজের অধ্যক্ষ মিসবাহ উদ্দিন বলেন, টিসি নিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রে তিনি স্বাক্ষর দেননি। তার বিদ্যালয় থেকে ফরম পূরণও করাননি। বৃহস্পতিবার সাগর ও সাইদুল পরীক্ষা দিতে আসেনি বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, দুই শিক্ষার্থী উভয় প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর নিয়ে টিসির আবেদন করলে তার দপ্তর থেকে অনুমতি দেওয়া হয়। এ সংশ্নিষ্ট কাগজপত্র তার হাতে রয়েছে।