বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ও টাকা জমা দিতে না পেরে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ভোগান্তি কমাতে অনলাইনভিত্তিক ফরম পূরণ প্রক্রিয়া চালু করার দাবি শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৯ থেকে ১৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স লেভেলের বিভিন্ন অনুষদের বিভিন্ন বর্ষ ও মাস্টার্সের সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপ ও টাকা জমা দেয়ার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ৯ মে বেশি ভিড় না হলেও শুক্র-শনির ছুটি শেষে রোববারে এসে বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারেননি অনেকেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্টেইনেবল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অরণ্য সাদেকুর রহমান বলেন, অনলাইনে ফরম পূরণ এবং টাকা জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে সবার কষ্ট এক নিমিষে কমে যাবে। যদি ডিজিটালাইজেশন করতে দেরি হয়, তাহলে সব লেভেল ও ফ্যাকাল্টির ফরম পূরণের জন্য মাত্র দু-তিনদিন না দিয়ে কমপক্ষে একমাস সময় দেয়া উচিত। এছাড়া নির্দিষ্টভাবে বলে দিতে কোন লেভেল এবং কোন ফ্যাকাল্টি কবে জমা দেবে। এতে শিক্ষার্থী, কোষাধ্যক্ষ ও ব্যাংকের লোকজনের কষ্ট অনেকখানি কমে যাবে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান কামু বলেন, সারাদেশ যেখানে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে সেখানে শুধু প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। আগামী সেমিস্টারের মধ্যেই সবকিছুতে অটোমেশন করতে হবে, নয়তো ছাত্রছাত্রীরা এর উপযুক্ত জবাব দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমানোর বিষয়টা আমাদের মাথায় আছে। ভবিষ্যতে যাতে ভোগান্তি না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো। আর অনলাইনভিত্তিক ফরম পূরণ প্রক্রিয়া চালু করা যায় কিনা সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।