সৈয়দপুরে একটি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘ফি’ কমানোর আবেদন করায় অভিভাবকদের স্কুল ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে সন্তানদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরা স্কুলের ক্যাম্পাসে বসতে না পেরে ওই স্কুলের দরজায় বিক্ষোভ করেন। রবিবার সকাল ৮টায় শহরের লায়ন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে বেশ কয়েক হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া প্রতিবছর সেশন, বেতনসহ নানা ধরনের ‘ফি’ জবরদস্তি আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। ২ বছর আগে একটি সহনীয় পর্যায়ে ছিল। এখন স্টান্ডার্ড নার্সারি থেকে কলেজ শাখা পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ২ থেকে ৫ হাজার টাকা বর্ধিত করা হয়েছে। আঃ আউয়াল নামে এ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের এক অভিভাবক জানান, অহেতুক খাত সংযোজন করে তারা প্রতিবছর ‘ফি’ বর্ধিত করছেন। নাজমা ইয়াসমিন নামের এক অভিভাবক বলেন, শনিবার প্রায় দুইশত অভিভাবক স্বাক্ষরিত ‘ফি’ কমানোর আবেদন স্কুলে জমা দেই। ওই সময় স্কুলের পরিচালক লায়ন্স নজরুল ইসলাম আমাদের পুলিশী হয়রানিসহ বাচ্চাদের বের করে দেয়ার ভয় দেখান। পরের দিন বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে আসার পর অভিভাবক ওয়েটিং কক্ষে বসার সিট উল্টিয়ে রাখা হয়। এবং নিরাপত্তা প্রহরীদের মাধ্যমে সেখানে বসতে নিষেধ করা হয়।
মাজেদুল নামে এক অভিভাবক বলেন, স্কুলটিতে আমার তিনটি সন্তান পড়ালেখা করে। প্রতিনিয়ত নানান ফি’ আদায় করেন। সময়মতো না দিলে ক্লাসে তাদের অপমান করা হয়। এমনকি, আমাদের টাকা দিয়ে পিকনিকসহ অতিথি আপ্যায়ন করেন। এখন এত টাকা কোথায় পাব? এ নিয়ে আবেদন করলে আমাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়। নিষিদ্ধ করা হয় স্কুল ক্যাম্পাসে। তাই একত্রিত হয়ে এ আন্দোলন করছি। এতে কোন সুরাহা না হলে আমরা মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলনে যাব।