ঝালকাঠি রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা এলাকা থেকে বয়ে যাওয়া বিষখালি নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে ঐতিহ্যবাহী মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এখন হুমকির মুখে। প্রায় অর্ধশত বছর পর্যন্ত শুনামের সাথে বিদ্যালয়টি চলে আসছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে প্রায় তিন শতাদিক শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত। শনিবার (৭ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিষখালি নদীতে পানির বারার ফলে নদীর পারে থাকা মাটি খসেপড়ে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এক পর্যায় বিদ্যালয়টির তীরবর্তী চলে এসেছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আইউব আলী খান জানান,“বিদ্যালয়টি রক্ষার ব্যপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।”
মঠবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, “উপজেলার নাপিতের হাট এলাকা থেকে চল্লিশ কাহনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার জায়গায় ভাঙ্গন বৃদ্দি পেয়েছে। শতাধিক বাড়িঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে রয়েছে। এ ব্যপারে ইতিমধ্যে আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য বিষখালী নদী ভাঙ্গন নিয়ে জাতীয় সংসদে একাধিকভার উত্থাপন করেছেন এবং বরিশাল থেকে তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তিনি একটি বেড়ীবাধ নির্মান সহ নাপ্তার হাট ও বাদুরতলা স্কুলের ওখানে ব্লক নির্মান করার আশ্বাস দিয়েছেন।”
ভাঙ্গন এলাকার কিছু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার জানান, বিষখালি নদীর ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে আমাদের অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসলি জমি এবং বাদুরতলা লঞ্চঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা, বাদুরতলা বাজারে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গনের মুখে এখনও রয়েছে অসংখ্য বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। যার ফলে আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এবিষয়ে ঝালকাঠি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম আতাউর রহমান জানান, আমরা নাপিতের হাট থেকে বাদুরতলা হয়ে চল্লিশ কাহনিয়া পর্যন্ত ৫কি.মি. চিহ্নিত করেছি। তবে এখন বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এ কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম শেষ হলেই জিওগেট ফেলে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য কাজ শুরু করা হবে।