করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির মামলায় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে আবারও রিমান্ডে চায় গোয়েন্দা পুলিশ।
তিন দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পর শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে আরও ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তথ্য জানা প্রয়োজন রয়েছে, তাই রিমান্ড চাওয়া হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়্যারম্যান হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় ইতোমধ্যে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সাবরিনার স্বামী জেকেজি হেলথ কেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী বর্তমানে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজেতে রয়েছেন। বুধবার রাতে ডিবি কার্যালয়ে তাদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে উপ-কমিশনার রাসেল জানিয়েছেন।
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার- সংক্ষেপে জেকেজি।
কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিল।
এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ১২ জুলাই সাবরিনাকে গ্রেপ্তার করে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।