ফেসবুক থেকে আলাদা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম - দৈনিকশিক্ষা

ফেসবুক থেকে আলাদা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম—তিনটি প্রতিষ্ঠানই ফেসবুকের মালিকানাধীন। এই কম্পানির সিইও মার্ক জাকারবার্গ সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান তিনটি আলাদা হওয়া উচিত। শুধু তা-ই নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারও চাইছে ফেইসবুক ভেঙে তিনটি আলাদা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে। 
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুনিয়ায় একাই রাজত্ব করতে চায় ফেসবুক। সম্প্রতি ফেসবুকের মনোপলির বিষয়টি বেশ জোরেশোরে আলোচনায় এসেছে। বর্তমানে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকসহ ছয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে। এতগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকার পরেও ফেসবুকের মনোপলির কথা ওঠার কথা নয়।
 
কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ফেসবুকের প্রতিযোগিতানীতি। ফেসবুকের প্রতিযোগিতার নীতি হচ্ছে প্রতিযোগীকে কিনে নাও বা প্রতিযোগীর ফিচারকে নকল করো। ফেইসবুকের বাইরে যে পাঁচটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম বলা হয়েছে, তার মধ্যে দুটি—অর্থাৎ ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপকে এরই মধ্যে কিনে নিয়েছে ফেইসবুক।
 
টুইটার থেকে হ্যাশট্যাগের ফিচারটি ধার করা হয়েছে। স্ন্যাপচ্যাট থেকে স্টোরিজ ফিচারটি চুরি করা হয়েছে এবং ইউটিউবকে টেক্কা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়েছে ফেসবুক ওয়াচ। এই পুরো বিষয়টি ফেসবুকের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের একটি চেষ্টা। ফেসবুকের আধিপত্য এতটাই ব্যাপক যে ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকে আর কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্টার্টআপ গড়ে ওঠেনি। এমনকি ব্যর্থতা মেনে নিয়ে ‘গুগল প্লাস’-এর মতো সেবাও বন্ধ করে দিতে হয়েছে খোদ গুগলকে। 
 
ফেইসবুকের একচ্ছত্র আধিপত্যের সমস্যা
 
এ রকম মনোপলি বা একচ্ছত্র আধিপত্যের একটি সমস্যা আছে। কোনো ব্যবসা মনোপলিতে রূপ নিলে সেখানে স্বেচ্ছাচার তৈরি হয়। নিয়ম-নীতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঢিলেমি দেখা যায়। গোপনীয়তার বিষয়টি তারা আর গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। মার্ক জাকারবার্গ তো কয়েক দিন আগে প্রাইভেসির বিষয়টি নিয়ে বেশ ঠাট্টা-মসকরাও করার চেষ্টা করলেন। করবেন নাই বা কেন। ৩০০ কোটি মানুষের তথ্য যে তাঁর হাতে। ফেইসবুকের সর্বেসর্বা তিনি। তিনি কারো কাছে জবাব দেন না। তিনি চাইলেই যে কোনো দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। ফলাফল পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। যা তিনি করছেনও। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর বিষয়টি আরও বেশি আলোচনায় এসেছে।
 
কী করা যেতে পারে?
 
ফেসবুক এখন মাইক্রোসফট ও গুগলের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। মাইক্রোসফট ও গুগল প্রতিষ্ঠান হিসেবে বড় হওয়ার পর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতারা নিজেদের কর্তৃত্ব দেখানো বন্ধ করেন। ফেইসবুকও এমনটি করতে পারে। মার্ক জাকারবার্গ একা সব কয়টি কোম্পানিকে সামাল দিতে পারছেন না বলে প্রমাণিত হয়েছে বহুবার। একেকটি শাখাকে একেকটি কার্যকর পরিষদের ওপর ছেড়ে দিতে পারেন মার্ক। প্রতিটি বিষয়ে নিজের নাক গলানোর অভ্যাসটি পরিহার করতে পারেন। এটি যেমন ফেইসবুকের জন্য মঙ্গল, তেমনি গ্রাহকদের জন্যও।
 
সরকার প্রধানরা যা করতে পারেন
 
বলাই বাহুল্য, ফেসবুক বর্তমানে সমাজের একটি মূল উপাদানে পরিণত হয়েছে। সামাজিক আচার-আচরণ, রাজনৈতিক পরিক্রমা—সব কিছুই ফেসবুকের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই প্রতিটি দেশের সরকারের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা। কীভাবে এই মনোপলি ভেঙে নতুন উদ্ভাবনকে উৎসাহ দেওয়া যায়, সেই দিকটির দিকেও খেয়াল রাখা।
 
ফেসবুক যেন কোনো স্পর্শকাতর তথ্য কোনো স্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করা।
 
ফেসবুকে কোনো অ্যালগরিদম চালু করার আগে প্রতিটি দেশের সরকারকে সেটি সম্পর্কে অবহিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে: প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের - dainik shiksha পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দাবি মাধ্যমিকের শিক্ষকদের ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার - dainik shiksha ঝরে পড়াদের ক্লাসে ফেরাতে কাজ করছে সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ভাইবোন গ্রেফতার ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি - dainik shiksha ভিকারুননিসায় ৩৬ ছাত্রী ভর্তিতে অভিনব জালিয়াতি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে - dainik shiksha ‘চার আনা’ উৎসব ভাতা: প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী সমীপে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050971508026123