নগরের সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কলেজে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে কলেজজুড়ে আতঙ্ক দেখা দেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল রবিবার এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘সকালে কলেজ ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। এই নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়ার পর দ্রুত পুলিশ পৌঁছে ক্যাম্পাসে। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সেখান থেকে দুটি আতশবাজির খোসা জব্দ করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি।’
পুলিশ ও ছাত্রলীগকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ রয়েছে। সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী রয়েছে দুপক্ষে।
গত শনিবার রাতে আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নতুন মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। রবিবার সকালে নতুন মেয়র প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেয় ছাত্রলীগের একপক্ষ। এটি নিয়েই মূলত বিরোধ সৃষ্টি হয় বর্তমান মেয়র নাছির অনুসারী ছাত্রলীগকর্মীদের সঙ্গে। এর পরই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগকর্মীদের একজন জানান, ক্যাম্পাসে বসন্ত উৎসব চলছিল তখন। এরই মধ্যে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে হামলা চালানো হয়।
ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার বিষয়ে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বলেন, ‘মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের কেউ তো মনোনয়ন দেয়নি। সেখানে কেন এই নিয়ে মিছিল করতে হবে। শুনেছি, ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের গ্রেপ্তারের দাবি করছি।’