ঝিনাইদহ শহর থেকে অপহরণের দুই দিন পর অপহৃত এক যুবককে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আটক করা হয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালেদুর রহমানসহ দুই অপহরণকারীকে।
এদিকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে খালেদুর রহমানকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
র্যাব-৬ এর ঝিনাইদহ ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ৩ বছর আগে কুমিল্লার একটি গার্মেন্টে চাকরি করার সময় খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার থলিবাড়ী গ্রামের আবুল কালামের ছেলে আশরাফুলের সঙ্গে পরিচয় হয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের আলীম হোসেনের। গত ৪ মাস আগে আলীম ফেসবুকে একটি ভুয়া আইডি খুলে মেয়ে সেজে আশরাফুলের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে। পরবর্তী সময়ে গত ১৪ (আগস্ট) দেখা করার জন্য আশরাফুলকে ঝিনাইদহে আসতে বলে।
আশরাফুল ঝিনাইদহের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গেলে তাকে অপহরণ করে চক্রটি। পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবারের লোকজন বিকাশের মাধ্যমে ৬৮ হাজার টাকা পাঠায়।
পরে বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন ঝিনাইদহ র্যাবকে জানালে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। শুক্রবার ভোরে শহরের ব্যাপারিপাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে অপহৃত আশরাফুলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও আটক করা হয় অপহরণকারী চক্রের অন্যতম সদস্য খালেদুর রহমান ও শামীম আহম্মেদকে।
শুক্রবার বিকেলে অপহৃতকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে খালেদুর রহমানকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠিত হবে এবং সেই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
