উপজেলার হরিপুর বিএসএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক মাস যাবৎ শিক্ষক অনুপস্থিত। ফলে শিক্ষালাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষর্থীরা। এ কারণে স্কুল চত্বরে বই উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপুর ইউনিয়নের মাদারীপাড়া চরে হরিপুর বিএসএম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি স্থাপন করে। বিদ্যালয়টি স্থাপনের পরে কয়েক দফা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। পরে মাদারীপাড়া নামক স্থানে স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। তখনও তিস্তা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টি আবারও ভাঙ্গনের আশংকা দেখা দেয়।
এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের টিন ও এঙ্গেল খুলে নিয়ে গিয়ে পাশেই বিদ্যালয়ের নামে দলিলকৃত জমিতে চালাঘর তোলে। সেখানে বিদ্যালয়টি চালুর ব্যবস্থা করে। কিন্তু নবনির্মিত চালাঘরে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকগণ দীর্ঘ এক মাস থেকে উপস্থিত হন না। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহন থেকে বঞ্চিত হয়ে গতকাল শনিবার বিদ্যালয় চত্বরে বই উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এদিকে প্রধান শিক্ষক গুলশান আরা হামিদার বলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে একই মৌজায় তিস্তা নদীর দক্ষিণ পাড়ে বিদ্যালয় স্থাপন করে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি। এ কারণে নদীর উত্তরপাড়ে এলাকাবাসীর নির্মিত চালাঘরে আমি ও আমার শিক্ষকগণ যাচ্ছি না।
সরেজমিনে দেখা যায় দক্ষিণ পাড়ে স্থাপিত বিদ্যালয়ে শিক্ষকগণের উপস্থিতি থাকলেও তা শিক্ষার্থীশূন্য। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আমার পরামর্শ মতে প্রধান শিক্ষক যে স্থানে বিদ্যালয়টি স্থানান্তর করে চালু রেখেছেন সেটি জনস্বার্থে করা হয়েছে। সুবিধামত সময়ে স্থায়ীভাবে বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
এদিকে ওই বিদ্যালয় থেকে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ শিক্ষা বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন করেন। আবেদনের এক মাস অতিবাহিত হলেও এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।