আগামীকাল বৃহস্পতিবার, পরেরদিন শুক্রবার। এরপরই শনিবারে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তার পরের দিন রবিবার অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপুর গভ. গার্লস হাইস্কুলে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপন করবে। প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলাদাভাবে উৎসব করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে।
সেই হিসেবে উৎসবের অপেক্ষা ?আর মাত্র কয়েক দিন। তার পরই ফুরোবে শিশুদের অপেক্ষার পালা। আগামী ১ জানুয়ারি নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হাতে পাবে ঝকঝকে নতুন পাঠ্যবই। নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা হবে তারা। বই হাতে করে আনন্দ-উল্লাসের মাধ্যমে বাড়ি ফিরবে শিক্ষার্থীরা। এবার শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে। এরই মধ্যে তা জেলা ও উপজেলা হয়ে পৌঁছে গেছে স্কুলে স্কুলে। খুব সামান্য কিছু বই ছাপার কাজ বাকি। এগুলো বাকি দু-তিন দিনে পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের প্রায় সব উপজেলায় পৌঁছে গেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যবই। অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার সাফল্যের সঙ্গে সময়মতো সব বই মুদ্রণ সম্ভব হচ্ছে বলে জানান এনসিটিবির কর্মকর্তারা। তারা জানান, আগামী (২০১৮) শিক্ষাবর্ষে মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৯ কপি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের বই ২৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮৪ হাজার ৪২৮ কপি এবং প্রাথমিক স্তরের বই ১১ কোটি ছয় লাখ এক হাজার ৫২১ কপি।