আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে এটা সব শিক্ষার্থীর জন্য নয়; শুধু আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর ১ জানুয়ারি বই উৎসব নাও হতে পারে। বই প্রস্তুত থাকবে। তবে উৎসবের বিকল্প ভাবছি। উৎসবটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু উৎসব করতে গিয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারি না।
দীপু মনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান চতুর্থ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা নেওয়ার পর করোনার কারণে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ চান, তাদের অটো পাস দেওয়া হোক। কেউ কেউ চান, ওই পাঁচটি পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হোক। তিনি বলেন, এই পরীক্ষার পর শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মজীবনে প্রবেশ করবেন। পরীক্ষা ছাড়া কর্মজীবনে ঢুকতে গেলে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে। তাদের যোগ্যতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন। আমরা পরীক্ষা নিয়েই তাদের মূল্যায়ন করতে চাই। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও কথা বলব, কীভাবে আমরা দ্রুততম সময়ে পরীক্ষাটি নিতে পারি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খবর পেয়েছি কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিউশন ফি আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন করছে। এটি কাম্য নয়। যেসব অভিভাবক করোনাকালে আর্থিক সংকটে পড়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। তবে সব অভিভাবকের তো এই সমস্যা নেই। এ ছাড়া করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বার্ষিক ক্রীড়া ফি, মিলাদ মাহফিল ফি- এ রকম অনেক ফি কাজে লাগেনি। সেগুলোর ক্ষেত্রেও ছাড় দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, করোনা শুরুর পর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ছুটি চলছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার অনুশীলন করতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে যাতে এখন থেকেই তা শুরু হয়, সেটি বিবেচনার প্রয়োজন আছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগ যখন ওঠে, তখন নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা রয়েছেন, তারা যেন তাদের সম্মান, প্রতিষ্ঠানের সম্মান, পেশার সম্মান রেখে আচরণ করেন।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে আরও সংযুক্ত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান।