জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নতুন বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ উৎসবের নামে টাকা আদায়ের ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, বুধবার উপজেলার ৭০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৪শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
কিন্তু উপজেলার পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বই বিতরণের সময় বই পরিবহন খরচ, খেলাধুলা, বিদ্যুৎ, রেডক্রিসেন্টসহ নানা খাত দেখিয়ে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়েছে। পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ধানের কুড়া বিক্রি করে ১হাজার টাকা দিয়ে তার মেয়ের জন্য নতুন বই নিয়েছেন।
অপর অভিভাবক বেতাগা গ্রামের মালেক মিয়া জানান, তিনি খড় বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে তার নাতীর জন্য বই নিতে এসেছেন। অপর দিকে শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে বলে ছাত্র অভিভাবকরা জানিয়েছেন। বই বিতরণের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে পলিশা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, তার বিদ্যালয়ে ৮শ শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।
দরিদ্র এলাকার শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, সেশন চার্জসহ অন্যান্য ফি দিতে চায় না, সেজন্য বই বিতরণের সময় ১হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। প্রায় একই ধরনের কথা বলেন ফুলজোড় উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক জহুরুল হক ও শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আমিনুর রশিদ।