বইমেলায় জিপিএসের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাবে পছন্দের স্টল - দৈনিকশিক্ষা

বইমেলায় জিপিএসের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যাবে পছন্দের স্টল

নিজস্ব প্রতিবেদক |

আসছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বাংলা একাডেমিতে শুরু হয়ে গেছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রস্তুতি। মেলাকে এবার আগের যে কোনো বারের চাইতে দৃষ্টিনন্দন ও পাঠকবান্ধব করে সাজানো হবে— জানিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী নতুন বইমেলা উপহার দেওয়ার কথা জানালেন। সেইসঙ্গে এবারের বইমেলার থিম করা হয়েছে ‘বিজয়’। বায়ান্ন, মুক্তিযুদ্ধ পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়ের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ খোঁজার চেষ্টা করা হবে এবারের মেলা থেকে। তিনি জানান, পুরো বইমেলাকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের (জিপিএস) আওতায় আনা হবে। তাই বইমেলায় প্রবেশ করার পর পাঠক ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের অবস্থান যেমন জানতে পারবেন তেমনি তার পছন্দের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে তিনি কীভাবে যাবেন সেই দিকনির্দেশনাও পাবেন জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে।

তবে এবছরও মেলার সময় বাড়ানো হচ্ছে না। প্রকাশকদের দাবি ছিল রাত দশটা পর্যন্ত মেলার সময় বাড়ানোর। তা না করে, গত বছরের মতোই বিকাল তিনটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্তই থাকছে মেলার সময়সীমা। তবে, রাত সাড়ে আটটার পর আর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না। মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের জন্য টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বর সড়কে চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। বইমেলার জন্য এ কাজ আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

নতুন মহাপরিচালক জানালেন, এবার উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেটে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও নতুন একটি প্রবেশপথ তৈরির চিন্তা চলছে। এ ছাড়া, বইমেলা চত্বরের বাইরের অংশের রাস্তায় নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বললেন, আমাদের একটি বিজয়যাত্রা হলো ‘বায়ান্ন থেকে একাত্তর’। আমাদের পরবর্তীকালের যাত্রা ‘নবতর বিজয়ের অন্বেষণ’। সেইজন্যই মেলার থিম ‘বিজয়’ করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ বললেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ সামনে, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হতে চলেছে। এ পর্যায়ে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের সামনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য বইমেলার আলোচনা, সেমিনার সবকিছুর আয়োজন করা হয়েছে। এসব আলোচনা থেকে বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে চলার পথনির্দেশনা পাওয়ার চেষ্টা করা হবে।

গত বছরের বইমেলায় স্টল বিন্যাসের নানা অসঙ্গতিকে মাথায় রেখে এবার মেলার বিন্যাসে পরিবর্তন আনা হবে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে মূল প্রকাশকদের স্টল তাই সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সব স্টল যাতে সমান গুরুত্ব পায় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। এবারের বইমেলার নান্দনিকতা বাড়াতে এবং পাঠকের সুবিধার্থে কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে আয়োজক বাংলা একাডেমি। গতকাল বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ ঘুরে দেখা গেল মেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

ড. জালাল আহমেদ আরো বললেন, মেলার থিম ‘বিজয়’কে উপজীব্য ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভের গ্লাস টাওয়ারকে কেন্দ্র করে বিন্যস্ত হচ্ছে মেলার এবারের নকশা। রাতের বেলা স্বাধীনতা স্তম্ভের আলো যাতে পুরো মেলায় ছড়িয়ে পড়ে সেইভাবে বিন্যাস করা হচ্ছে স্টল। প্রতিবছরই অভিযোগ শোনা যায় মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে কিছু কিছু স্থানে পাঠকদের আনাগোনা থাকে না। এবার সেটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। সেজন্য বইমেলার ডিজাইন করা হচ্ছে নামকরা স্থপতিদের দিয়ে। এবারের গ্রন্থমেলার বিন্যাস করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থমেলার আদলে। স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝর এবারের মেলার নকশা করছেন। তিনি জানান, মেলার নান্দনিকতা বাড়াতে এবারই প্রথম একটি সৃজনশীল কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেলায় প্রথমবারের জন্য ‘লেখক পরিচয়’ নামের মঞ্চ থাকবে। যাতে প্রতিদিন নির্বাচিত লেখক তাদের মেলায় প্রকাশিত বই নিয়ে কথা বলবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দুই ক্যাটাগরিতে প্যাভিলিয়ন থাকছে ২৩টি। এরমধ্যে ২৪ ফুট বাই ২৪ মাপের প্যাভিলিয়ন থাকছে ১০টি আর ২০ বাই ২০ মাপের প্যাভিলিয়ন থাকছে ১৩টি। এছাড়া, চার ইউনিটের স্টল থাকবে ১৯টি, ৩ ইউনিটের স্টল থাকবে ৩৩টি, ২ ইউনিটের স্টল থাকবে ৯৪টি এবং এক ইউনিটের স্টল থাকবে ১১২টি। আর শিশু কর্নারে ৭৫টি ইউনিট রাখা হয়েছে শিশু বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য।

যেসব প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন থাকছে সেগুলো হলো - আগামী, অবসর, অনুপম, ঐতিহ্য, তাম্রলিপি, শোভা প্রকাশ, কথাপ্রকাশ, অনন্যা, অন্বেষা, পাঠক সমাবেশ, অন্য প্রকাশ, সময়, মাওলা ব্রাদার্স, কাকলী প্রকাশনী, বাংলা প্রকাশ, উত্স প্রকাশন, অনিন্দ্য প্রকাশ, নালন্দা, জার্নিম্যান বুকস, প্রথমা, পার্ল পাবলিকেশন্স, ইত্যাদি গ্রন্থপ্রকাশ ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স।

এদিকে, বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, স্টল বরাদ্দ এখনো হয়নি। ২১ জানুয়ারি লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে। বইমেলায় এবছর ৪৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মোট ৬৯০টি ইউনিট থাকছে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ মিলিয়ে। এদের মধ্যে ১৯টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সুযোগ পেয়েছে বইমেলায় অংশ নেওয়ার। আর গতবছরের মধ্য থেকে দুটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য মেলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ইউনিভার্সাল একাডেমি ও আদর্শ প্রকাশনী।

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.011196136474609