টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করার পরেও এসএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদেও অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে বগুড়ার শেরপুর গাড়িদহ চাইল্ড হ্যাভেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এজন্য ফেল করা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলে পাঠদানের অনুমোদন নেই শিক্ষা বোর্ডের। তবুও এসএসসি পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়ে লেখাপড়া করানো হয়। ওই সব শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয় অন্য স্কুল থেকে। আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই স্কুলের ২৬ জন শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু সব শিক্ষার্থী সেই পরীক্ষায় ফেল করে। এই ফল স্কুলের বোর্ডেও দেয়া হয়। এরপর ফেল করা এসব শিক্ষার্থীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ গোপনে তাদের কাছ থেকে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছে, এ বিষয়ে কারও সাথে কথা বলতে আমাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন বলেন, আমরা পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে তারপরেই কেবল ফরম ফিলাপ করিয়েছি। পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের আর কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি।
এদিকে ওইসব শিক্ষার্থীদের যে প্রতিষ্ঠান থেকে ফরম পূরণ করানো হয়েছে সেই জামুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে বলেন, চাইল্ড হ্যাভেন স্কুলের ২৬ জন শিক্ষার্থী আমার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফরম ফিলাপ করেছে। যাদের কোন পরীক্ষা আমি নেই নাই। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষায় ফেল করেছে কি-না সেটি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজমুল ইসলাম বলেন, চাইল্ড হ্যাভেন একটি কেজি স্কুল। তাই এখানে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও তারা পরীক্ষা নিয়েছেন বলে শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।