শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ভাবনাকে আমরা ধারণ করতে পারিনি। আমরা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষা মনোনিবেশ করেছিলাম। যত্রতত্র অনার্স মাস্টার্স চালুর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেকার তৈরি করার কারখানায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ব্যবহারিক ও জীবনমুখী পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
তিনি বিভিন্ন বক্তৃতার মাধ্যমে কৃষি ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ব্রিটিশরা বিএ, এমএ পাস করিয়ে আমাদের কেরানি বানিয়ে দিয়ে গেছে। তোমরা জমিতে গিয়ে শিখো, কিভাবে ফসল ফলাতে হয়।
গতকাল বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে 'জাতির পিতার শিক্ষা ভাবনা' শীর্ষক এক অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপমন্ত্রী আরও বলেন রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু মুজিবকে চর্চা করা উচিত ছিল কিন্তু বিগত সরকার সমূহ ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। ৭ই মার্চের ভাষণকে মানব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে অথচ এক সময় সে ভাষণ পর্যন্ত শুনতে দেয়া হতো না।
মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।