গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়টির অচলাবস্থার প্রকৃত কারণ ও বর্তমান অবস্থা জানাতে আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ ষষ্ঠ দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মো. কামাল হোসেন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ। ইউজিসি সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রকৃত কারণ ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ইউজিসিতে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিভিন্ন দাবি আদায়ে জন্য সমবেত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে জানানোর জন্য ইউজিসির চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছিল চিঠিতে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান অচলাবস্থাসহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সে প্রেক্ষিতেই আজ দুইদিন চিঠি দিয়ে ইউজিসির কাছে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চাইল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গত বুধবার আন্দোলন শুরুর পর বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ পরিস্থিতিতে গত শনিবার সকালে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরই মধ্যে সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। এতে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ ষষ্ঠ দিনের মতো অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। হল ছেড়ে যাননি তারা। উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে তারা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। শিক্ষার্থীরা এতে স্বাক্ষর করছেন।