গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বিএমবি বিভাগের বিরুদ্ধে বাংলা বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত ক্লাসরুম দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দুই বিভাগের মধ্যে মারামারি এবং হাতাহাতিতে আহত হয়েছে বাংলা বিভাগের ছাত্রীসহ অন্তত ৪ জন এবং বিএমবি বিভাগের ১ জন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চেয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
জানা গেছে, রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের ২২১নং কক্ষে পাঠগ্রহণের জন্য অবস্থান করলে বিএমবি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা ক্লাস রুমে ঢুকে ক্লাস রুম দখল এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানোসহ অশালীন আচরণ এবং গালিগালাজ করে। এ সময় দুই বিভাগের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান, প্রক্টর ড. রাজিউর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা। তারা দ্রুত শিক্ষার্থীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেন।
এদিকে ওই ক্লাসরুমটি বিএমবি বিভাগের এমনই দাবি করেন বিএমবি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে বিএমবি বিভাগের সভাপতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. লুৎফুল কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের বিভাগের পাশ্ববর্তী ক্লাসরুমটি তৎকালীন ভিসি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন না করে এবং স্বল্প সময়ের জন্য বাংলা বিভাগকে বরাদ্দ দিয়েছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ এবং বিভাগের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় ক্লাসরুমটি ব্যবহার করা আমাদের অধিকার।
বাংলা বিভাগের সভাপতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর আব্দুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমার শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ক্লাসরুম দখলের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
ইতোমধ্যে দুই বিভাগের সভাপতিকে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডি সমঝোতার আহ্বান জানিছেন। এতথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান।