বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা অনেক আগেই জাতীয়করণ করা হতো বলে মনে করেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির নেতারা। সোমবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা,দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা একথা বলেন।
সমিতির সভাপতি কাজী রুহুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, সহ-সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহজাহান, তাজুল ইসলাম ফরাজী, জিয়াউল হক জিয়া, আবু মুসা ভূইয়া, ইনতাজ বিন হাকিম, মোঃ সামছুল আলম, সরদার কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, নাসরিন বেগম, ফেন্সী খাতুন, আব্দুর রশিদ, কাজী বেলাল হোসেন, আলতাফ হোসেন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল হান্নান, রেজাউল করিম, মতিয়ার রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামালসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্টজন। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে তাদের মাগফেরাত কামনা করে এ দিনটিকে “জাতীয় শোক দিবস” হিসেবে পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে চিরস্মরণীয় করে রাখতে চাই।
ইনতাজ বিন হাকিম বলেন, ঘাতকরা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে মেরে তার নাম নিশানা বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলবে। কিন্তু না আজ ৪৩ বছর পরেও প্রমাণ হয়েছে জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব আরো শক্তিশালী ও আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শুধু বাংলার মানুষ নয় সারা বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে তারা বিশ্বমানের একজন নেতাকে হারিয়েছে এবং দেশের হয়েছে অপুরণীয় ক্ষতি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা অনেক আগেই জাতীয়করণ করা হত।