বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নতুন করে সংক্রামক ব্যাধির ওপর উচ্চশিক্ষার কোর্স চালু করা হচ্ছে। সংক্রমণ ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা যাতে দেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায় তার জন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও আগামী সপ্তাহ থেকে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকে ২শ’ বেডের এ ওয়ার্ড চালু করা হবে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া গতকাল সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান।
বিশেষজ্ঞরা জানান, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ওপর দেশে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ৯৫টি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার কোর্স চালু আছে। সেখানে চিকিৎসা শিক্ষার ওপর স্নাতকোত্তর কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্সে ছাত্র ভর্তি করা হয়। তাদের উন্নত শিক্ষা দেয়া হয়। সংক্রমণ রোগের ওপর পৃথকভাবে উচ্চশিক্ষার কোন বিভাগ ছিল না। তবে মহাখালীতে একটি সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল থাকলেও তার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। করোনা রোগীদের চিকিৎসা করতে গিয়ে ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেছে। কিছু সংস্কার করে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এবছর করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সমস্যা হচ্ছে। উপসর্গের লক্ষণ বুঝে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাই এ বিষয়ে আরও শিক্ষা, আরও গবেষণার জন্য প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতার ভবনে ফিভার ক্লিনিক চালু করে সুনাম অর্জন করেছে। বেতার ভবনে করোনা শনাক্ত পরীক্ষায় রোগীদের আগ্রহ বাড়ছে। সেখানে বহুতল ভবন করে উচ্চশিক্ষা, চিকিৎসায় আরও নতুন নতুন পরিকল্পনা করবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আলোচনা করছেন। আর নতুন করে এক হাজার বেডের কোরিয়ান হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলছে।
সূত্র জানায়, ভার্সিটির কেবিন ব্লকের ওপরে ২শ’ বেডের করোনা ইউনিট চালু করার জন্য ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন। করোনা ওয়ার্ড চালু করে রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হবে।
এদিকে বেতার ভবনে করোনা রোগীদের চিকিসা দিতে গিয়ে ও রোগীর সেবা করতে গিয়ে ডাক্তার ও কর্মকর্তাসহ প্রায় ৭০ জন আক্রান্ত হয়েছে। অনেকেই আইসোলেশনে আছে। আবার কেউ নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন আছে। ইতোমধ্যে ২ জন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মধ্যে একজন সাবেক। আবার অনেকই রোগী দেখতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ করোনা টেস্টে ও ফিভার ক্লিনিকে রোগীদের দেখে টেস্টের উপযোগী হলে মাত্র ৩০ টাকায় ডাক্তার দেখানো ও পরীক্ষার কাজ শেষ করছে।