বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ - দৈনিকশিক্ষা

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ

মো. সিদ্দিকুর রহমান |

স্বাধীনতার ঊষালগ্নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের জুলাইয়ে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন। সে সময় সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। চারিদিকে শুধু অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসার নিদারুন সংকট। বঙ্গবন্ধু রেশনশপ, ন্যায্য মূল্যের দোকান ও বিনা মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিতরণের মাধ্যমে সে দুঃসময়ের সংকট মোকাবেলা করেছিলেন। তখন শিক্ষার্থীরা পেতো বিনা মূল্যে বই, খাতা পেন্সিল, জামা, দুধ, ছাতু, বিস্কুট। শিক্ষকেরা সরকারি চাকরিজীবীর পাশাপাশি পেতো রেশন ও অলিম্পিয়া টেকস্টাইল মিলের ন্যায্য মূল্যে শার্টের কাপড়। স্কুলের জন্য দেয়া হতো রেডক্রস থেকে পর্যাপ্ত টিন ও নগদ অর্থ। এক কথায় তখন প্রাথমিকের শিক্ষার্থী, শিক্ষক অনেকটা স্বর্গরাজ্যে বাস করতেন।

প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা যে কত বিশাল তা আজকে বেসরকারি শিক্ষকেরা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছেন। অনেক দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে বলতে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শাহাদাৎ বরণের পর প্রাথমিকের শিক্ষক নেতারা মীরজাফরের ভূমিকা পালন করছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত ও কৃতজ্ঞতার কথা বেমালুম ভুলে গেছেন।

২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে সেনাসমর্থিত সরকারের সময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের পর সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক নেতাদের নিয়ে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত এবং টুঙ্গিপাড়ায় শিল্পকলা একাডেমি হলে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠান করেছিলাম।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বরণের পর ইতিহাস এমনভাবে বিকৃত করা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষার সকল অবদান যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সরকারগুলোর। বেশির ভাগ নেতাদের মাঝেও সে সুর পরিলক্ষিত হয়।

বিগত নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষায় অবদান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ কাজ করতে গিয়ে প্রাথমিকের সংগঠনগুলোর সক্রিয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। অথচ নির্বাচনের পর নেতারা সরকারের পক্ষে ইতিবাচক স্লোগান দিয়ে মুখে থুথু জমিয়ে ফেলছে। মন্ত্রীদের বাসভবনে ফুলের তোড়াসহ স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক সেজেছে। নির্বাচনের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর দেয়া সরকারি কর্মচারীর মর্যাদা উপভোগ করে বঙ্গবন্ধুর প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান নিয়ে টু শব্দটি উচ্চারণ করেন নাই।

বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষকদের ৭৫ এর পরে জন্ম। তাদের বঙ্গবন্ধু আদর্শ, বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় বঙ্গবন্ধুর ও বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশাল অবদান অন্তরে ধারণ করার অভিপ্রায়ে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ গঠন করা হয়। সভা, সেমিনার, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার লেখালেখি, প্রচারপত্র, ক্যালেন্ডারসহ স্মরণিকার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার চেতনার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রাথমিক শিক্ষর সকল বৈষম্য দূরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ আজকের প্রত্যাশা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক : মো. সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ; সম্পাদকীয় উপদেষ্টা, দৈনিক শিক্ষাডটকম।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035228729248047