বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের একটি আবেদনের পক্ষে রায় দিয়েছেন কানাডার ফেডারেল কোর্ট। ফেডারেল কোর্টের বিচারক জেমস ডব্লিউ ওরেইলি মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন বলে কানাডার সংবাদ মাধ্যমগুলোতে জানানো হয়। নূর চৌধুরীর ট্যাটাস (মর্যাদা বা কিসের ভিত্তিতে তিনি সেখানে বসবাস করছেন) প্রকাশ করা-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ব্যাপারে ওই আবেদন করা হয়।
রায়ে বিচারক বলেন, নূর চৌধুরীর বিষয়ে বাংলাদেশকে তথ্য না দেয়ার সিদ্ধান্ত কানাডা সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তার অভিবাসন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশে জনস্বার্থে ব্যাঘাত ঘটবে না।
রায়ে তিনি আবেদনটির বিচারিক পর্যালোচনা করতে সম্মতি দেন।
১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশত্যাগ করে নূর চৌধুরী। সে বর্তমানে কানাডার টরন্টোতে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মামলার চূড়ান্ত বিচারে নুর চৌধুরীর ফাঁসির রায় হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে খুনি নূর চৌধুরী কানাডা থেকে তার বহিষ্কার এড়াতে 'প্রি-রিমুভাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট' আবেদন করে। তাতে সে উল্লেখ করে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে তাকে ফাঁসি দেয়া হবে।
কানাডার অ্যাটর্নি দপ্তরের সিদ্ধান্তহীনতায় প্রায় ১০ বছর আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি। পরে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে কানাডার ফেডারেল কোর্টে 'রিট অব ম্যানডামাস' দাখিল করা হয়। নূর চৌধুরীর আবেদনের বিষয়ে অ্যাটর্নি দপ্তরকে সিদ্ধান্ত জানানোর অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা চেয়েই বাংলাদেশের পক্ষে এ আবেদন করা হয়।