সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) শাখা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম জজকোর্টের অ্যাডিশনাল পিপি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক সাংসদ আ ন ম শামসুল ইসলাম, প্রফেসর আহসান উল্ল্যাহ, জামায়াতে ইসলামী আইআইইউসি শাখা আমির ড. মাহাবুবুর রহমান, রুকন ড. কাউছার আহমেদ, মুহাম্মদ শফিউল আলম ও নিজাম উদ্দিনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৭০ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার সময় আইআইইউসির বিভিন্ন পদে থাকা জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে উল্লাস করে। সুনির্দিষ্ট আসামিদের যোগসাজশে জামায়াত ও শিবির নেতাকর্মীরা এই ভাঙচুর চালায়।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন বলেন, মামলার আসামিরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জাতির পিতার ছবি ভাঙচুর করেছে, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাই জাতীর পিতার সম্মান রক্ষার্থে তিনি এ মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন।
এদিকে গত সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং, সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিনের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেজিস্ট্রার কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ আবুল কাশেম এই ঘোষণা দেন।
গত ২৭ জানুয়ারি শিবিরের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ২৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ওই দিন সেন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ৭ ফেরুয়ারি শিবিরের ওই কর্মী বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ১১ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করেন।