জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত স্থাপনা তৈরি, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী’ উদযাপন কমিটির প্রথম সভায় এসব কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। সভার শুরুতে ৬ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ ও ৮ ডিসেম্বর যবিপ্রবিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আজকের সভায় কমিটির সদস্যরা বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন ছাড়াও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জয় বাংলা কনসার্ট, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিভাগ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব করেন। এ উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ এবং স্মরণিকায় বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত কবিতা, ছবি, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ব্যাকগ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর ছবি বা জন্মশতবার্ষিকীর থিম সংযোজন করে এ সম্পর্কিত নতুন একটি উইনডো তৈরি এবং উইনডোতে বঙ্গবন্ধুর কর্নারকে যুক্ত করে তাঁর সকল কনটেন্ট দেখানোর প্রস্তাব করা হয়।
সভায় আন্তর্জাতিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং বীরশ্রেষ্ঠদের ভাস্কর্য তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়। সভায় যবিপ্রবি উপাচার্য জানান, এটি সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজাইন প্রস্তাব আহ্বান করা হয়েছে।
সভায় যশোর জেলার ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার অভিজ্ঞতার অডিও-ভিডিও ধারণসহ খেতাবপ্রাপ্ত ও অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ ক্ষেত্রে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত প্রামাণ্যচিত্র, ভিডিওচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর প্রস্তাব করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের রক্তদান কর্মসূচির আয়োজনেরও প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া সরকার ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনে গঠিত জাতীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচির সাথে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদের পরিচালনায় কমিটির প্রথম সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, ডিনস্ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ড. কিশোর মজুমদার, ড. জাফিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি ও সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।