জাতির জনকের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ও সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে রাজধানীর মুগদা হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেনকে কারণ দর্শানো নোটিস পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১৫ আগস্ট কোনো অনুষ্ঠান পালন না করায় তাকে নোটিস প্রাপ্তির সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে সরকারি বেসরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস পালন করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকলেও গত ১৫ আগস্ট শোক দিবস উপলক্ষে কলেজে কোন ধরণের অনুষ্ঠান পালন করেননি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ আগস্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেয়া চিঠিতে স্থানীয় সাংসদ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও আমার নির্বাচনী এলাকার মুগদা থানাধীন হায়দার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে দিবসটি উপলক্ষে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। ওইদিন অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানেও অনুপস্থিত ছিলেন।
জাতির জনকের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং সরকারি নির্দেশ অমান্য করা গুরুতর অপরাধ। এ ধরণের অপরাধের জন্য অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস পালন না করায় অধ্যক্ষের শাস্তি দাবি সাংসদের