ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বদলি হতে চাইলে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের মেধার পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষায় উর্ত্তীণরাই কেবল এসব স্থানে বদলি হতে পারবেন। প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকদের সংশোধিত বদলির নীতিমালা খসড়াতে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি মাসে এ নীতিমালা চূড়ান্ত হবে।
সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিব মো আসিফুজামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় ঢাকায় বদলির ক্ষেত্রে পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর বিষয়টি অন্তভুক্ত করার পরামর্শ দেন সচিব। এছাড়াও শিক্ষক বদলিতে মন্ত্রণালয়ের কোনো হস্তক্ষেপ না রাখার বিষয়টি তিনি অন্তভুক্ত করতে নির্দেশ দেন। পরবর্তী সভায় নীতিমালাটি চূড়ান্ত করা হবে বলেও জানা যায়। গত ১৫ নভেম্বর এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ডিজিই এ বিষয়ে সুপরিশ পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা ঢাকায় বদলি হয়ে আসতে চান। এ কারণে সিটি কর্পোরেশন এলাকাগুলোতে বদলিদের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মেধার পরীক্ষা দিতে হবে।
সচিব আরও বলেন. শিক্ষক বদলি নীতিমালায় কিছু জটিলতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। এখন থেকে বিশেষ কারণে বছরের যেকোনো সময় শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে তাকে বদলি করা হবে। খসড়া তৈরি হয়েছে। সবার মতামত চাওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, রাজধানীর মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বদলির ক্ষেত্রে মেধা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। সে পরীক্ষায় উর্ত্তীণরাই শুধু এসব স্থানে বদলি হতে পারবেন। চাকরি পাওয়ার পর নারী শিক্ষকদের বিয়ে হলে স্বামীর কর্মস্থলের পার্শ্ববর্তী স্কুলে বদলি হতে পারবেন, প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের স্থায়ী ঠিকানার পার্শ্ববর্তী এলাকার স্কুলে বদলি করা যাবে, স্বামী মারা গেলে বা বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সুবিধামতো স্থানসহ বিশেষ কোনো কারণে বছরের যেকোনো সময় বদলি হওয়া যাবে, দুর্গম এলাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা চাকরির মেয়াদ ১০ বছরের পরিবর্তে ৫ বছর পর নিজ এলাকায় বদলি হতে পারবেন, জাতীয়করণ অনেক শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তারা প্রেষণে নিজ জেলায় বদলি হতে পারবেন। তবে, সাধারণ বদলির ক্ষেত্রে বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আবেদনের সময় নির্ধারিত রয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, আগের মতো শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করতে পারবেন। আর দুই বছরের মধ্যেই নিজ জেলায় বদলির আবেদন করতে পারবেন। তবে বিশেষ কারণে যেকোনো সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক, প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসার ও বিভাগীয় উপ-পরিচালকের সুপারিশে সুবিধামতো স্থানে বদলি হওয়া যাবে।