বদলে যাচ্ছে সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা উচ্চ মাধ্যমিকের চারটির মধ্যে তিনটি বই। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' (আইসিটি), বাংলা ও বাংলা সহপাঠ বইয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। ইংরেজি বইটির পরিমার্জন কমিটির প্রধান চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন করোনার কারণে বইটির জন্য সময় দিতে পারেননি। তাই বইটি যেমন আছে তেমনই যেন রাখা হয়। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ও ক্লাস শুরুর আগেই নতুন ও পরিমার্জিত এই তিনটি বই বাজারে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকের 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' (আইসিটি) বিষয়ের বইটি নিম্নমানের হওয়ায় এ বছর থেকে তা বেসরকারি খাত থেকে তুলে নেওয়া হবে। বাংলা, ইংরেজি ও বাংলা সহপাঠের মতো আইসিটি বইটিও সরকারিভাবে বাজারজাত করা হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আইসিটি বইটি বাজারে পাওয়া যাবে। বইটি বর্তমানে নতুন করে লেখা হচ্ছে। এ ছাড়া বাংলা বইয়ের কয়েকটি গল্প বাদ যাবে কয়েকটি নতুন গল্প যুক্ত হবে। বাংলা সহপাঠ বইও পরিমার্জন হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের থাবায় অনিশ্চিত চলতি বছরের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি। ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছেন ১৬ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে না পারায় কলেজগুলোর ভর্তির দিনক্ষণও ঠিক করা যাচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীরা যেন বইয়ের অভাবে ঘরে বসে হাত গুটিয়ে না থাকে, সে জন্য বাজারে উচ্চ মাধ্যমিকের বই ছাড়ার সব ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলেছে 'জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড' (এনসিটিবি)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
অতীতে কখনোই একাদশ শ্রেণির ভর্তির আগেই পাঠ্যপুস্তক 'প্রস্তত' থাকেনি। কলেজেগুলোতে ক্লাস শুরুর পর বই বাজারে আসত। এবার ক্লাস শুরুই শুধু নয়, ভর্তির আগেই বই বাজারে শিক্ষার্থীদের জন্য রেডি থাকছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অভিভাবকরা বলছেন, করোনার কারণে কলেজগুলোতে ভর্তি ও ক্লাস দেরিতে শুরু হলেও নতুন ও পরিমার্জিত বই বাজারে আসবে শিগগিরই।
অভিভাবকরা নতুন বইয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। বাজার থেকে পুরনো বই কিনে টাকা নষ্ট করতে চান না।