বন্ধের উপক্রম হয়েছে অবৈধভাবে বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজগুলো। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশ ও তালিকা প্রকাশ করে সুষ্পষ্টভাবে বলা হয়েছে কারা বৈধ ও কারা অবৈধ। কিন্তু অবৈধ কলেজগুলোর মোর্চার নেতা নজরুল ইসলাম গং অবৈধ টিটি কলেজগুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে আসছিলেন গত দুই/তিন বছর ধরে। কিন্তু নজরুল গংদের কলেজ থেকে বিএড করার পর সেই সনদগুলো কোনো কাজে আসছে না। স্কেল পাওয়া যাচ্ছেনা। ভুক্তভুগীরা দৈনিক শিক্ষার কাছে অভিযোগ করেছে। তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরেও অভিযোগ করেছে।
সাভার এলাকার একটি অবৈধ টিটি কলেজের একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাকে জানান, তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ বেতন দিতে পারছে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের চিঠি জারির পর সচেতন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় না। চাকরি ছেড়ে মুদি দোকান ও টিউশনি করছেন সাভারের এই কলেজটির অধিকাংশ শিক্ষক। একইভাবে সারাদেশের অবৈধ কলেজগুলোর একই অবস্থা। কিন্তু শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারীকে নানাভাবে সুবিধা দেয়ার অভিযোগ নজরুলের বিরুদ্ধে। কয়েকজন অফিস সহকারী জড়িত এসব অবৈধ বিএড কলেজের সঙ্গে।
এমপিওভুক্তির দাবি: অবৈধ টিটি কলেজগুলোর মালিকরা সরকারের কাছে এমপিও দাবি করেছে। সর্বশেষ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন করেছে। অথচ এগুলো নিতান্তই ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এমপিওভুক্তির দাবি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অবৈধভাবে পোস্টার ছেপেছে মর্ডান টিটি কলেজ: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তির বিজ্ঞাপন ও পোস্টার ছাপানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ হলেও রাজধানীতে হাজার হাজার পোস্টার লাগিয়েছে মর্ডান টিটিসি। এটি রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের কাছে অবস্থিত।