উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর ৪ উপজেলার নদীর তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের ৯৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বন্যাকবলিত চার উপজেলার চরাঞ্চলের ১১৩ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) সকাল থেকে সদরের ঘাঘট নদীর পানি নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৭ সে:মি: ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের বালাসীঘাট পয়েন্টে ৮৬ সে:মি: এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সে:মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
চরাঞ্চল ও নদী বেষ্টিত এলাকার বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে, ফলে ৯৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসেন আলী।
এদিকে সকালের দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদীর বাগুড়িয়া বাঁধ ভেঙ্গে দুটি গ্রামের অন্তত ১০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ এলাকার মানুষজন। বাঁচার তাগিদে এসব লোকজন পার্শ্ববর্তী সোনাইল বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি বাড়ার সাথে সাথে শহর রক্ষা সোনাইল বাঁধও হুমকির মুখে পড়েছে।এ বাঁধের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে বস্তায় মাটি ভরে মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের উদাসীনতার কারণেই বাগুড়িয়া বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। শহর রক্ষা সোনাইল বাঁধ ভেঙ্গে গেলে গাইবান্ধা শহরের লোকজন পানিবন্দী হয়ে পড়বে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা দেয়া শুরু করেছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর জন্য ২৪০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং নতুন করে আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।