নোটিশের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংকের সকল লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা আটকে গেছে। শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন উপাচার্যের নোটিশের কারণে তারা বেতন তুলতে পারছেন না।
এদিকে, ববি উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ। টানা ২৪ দিন পৃথকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারীরা নিজ নিজ দাবি আদায়ে আন্দোলন করলেও গতকাল তারা সম্মিলিতভাবে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেলা ১১টায় মানববন্ধন শেষে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মিয়া জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না হওয়া শিক্ষকরা আর অফিসিয়াল কার্যক্রমে ফিরবে না। প্রয়োজনে সকলে মিলে আমরণ অনশন করবেন। আন্দোলনরত মার্কেটিং বিভাগে শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে আন্দোলনে নেমেছি। এই স্বাধীনতা বিরোধী, স্বৈরাচারী, দুর্নীতিবাজ, নির্যাতনকারী উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। মানববন্ধনে শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।