বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পাঠ গ্রহণের ব্যয় পুরোপুরি বহন করার সামর্থ্য আছে মাত্র ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর। সম্প্রতি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইন পাঠদানের ওপর করা একটি জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে। করোনার প্রভাবে বন্ধ হওয়ার পর গত ১৫ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন পাঠদান শুরু হয়।
'হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ'-এর প্রণোদনায় গঠিত ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক এ জরিপ পরিচালনা করে। গত ২৪ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত জরিপ শেষে ১১ আগস্ট ফল প্রকাশ করা হয়। জরিপে ৬২০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
জরিপে বলা হয়, অনলাইনে পাঠদান খুবই ব্যয়বহুল। আবার অনেক শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় ডিভাইস নেই। অনেকের বাড়িতে ইন্টারনেটের সংযোগ দুর্বল হওয়াসহ নানা সমস্যায় তারা এর সুফল পাচ্ছেন না।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে পাঠদানের পুরোপুরি ব্যয় বহন করতে সামর্থ্য আছে মাত্র ১৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর। ব্যয় নির্বাহে সামর্থ্য নেই এমন শিক্ষার্থী হার ৪২ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং আংশিক ব্যয় বহনে সক্ষম ৩৯ দশমিক ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জরিপে অনলাইনে পাঠদানের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর্থিকসহ নানা সমস্যা উঠে আসে। এতে দেখা যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী (৪৫ দশমিক ৪৮ ভাগ) তাদের গ্রামের বাড়িতে থ্রিজি নেটওয়ার্ক পান। এ ছাড়া ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় আছেন ২৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আর ওয়াইফাই সুবিধা আছে মাত্র ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থীর। ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট সংযোগ পান না। ফলে তাদের পক্ষে অনলাইনে পাঠ গ্রহণ সম্ভব হয় না। এ ছাড়া স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ সুবিধা নেই ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর। ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে পাঠ গ্রহণে আগ্রহী নন, যা মোট শিক্ষার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।