বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ১২ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে। রোববার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ৩ বছর আগে থেকে আমরা দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। নতুন পরিষদের পক্ষ থেকে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক। এ যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।
দাবিগুলোর হলো, নীতিমালা সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সরাসরি নিয়োগের ৬০ ভাগ অভ্যন্তরীণ পদসহ পদোন্নতি বিধান করতে হবে, যা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে দিতে হবে। পদোন্নতির বয়স হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা না থাকলে শুধুমাত্র গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে। সময় উপযোগী সার্ভিস রুল প্রণয়ন করতে হবে। অতিরিক্ত সময়ে কাজের মজুরি হবে বেসিক হারে এবং রাত্রিকালীন ভাতা প্রদানসহ সব প্রকার পারিতোষিকে ভাতা দিতে হবে। অনুমোদনের মাধ্যমে অর্জনকৃত সব সনদপত্র নথিভুক্তির পর দুটি ইনক্রিমেন্ট এবং নথিভুক্তির জন্য অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা বন্ধ করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত দাবিনামা পেশ করার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পরিষদের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামান। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে লিখিত দাবিনামা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী শরীফ, সাবেক সভাপতি শাহাজাদা খান, মো. পারভেজ প্রমুখ।