বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীনকে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অসঙ্গতিপূর্ণ কাগজপত্রে বিভিন্ন বিল দিতে অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও অনৈতিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ তদন্তে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীনের বিরুদ্ধে সরকারি বিধিবিধান অমান্য করা ও অসঙ্গতিপূর্ণ কাগজপত্রে বিভিন্ন বিল প্রদানের জন্য অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমানকে বিভিন্নভাবে হুমকি ও অনৈতিক চাপ দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দফতরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপরই এ অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুজন চন্দ্র পালকে আহবায়ক, ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাটিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন চৌধুরীকে সদস্য করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে অ্যাকাউন্টস অফিসার সাকিজ উদ্দীন সরকারকে সাচিবিক কর্মকর্তা করা হয়েছে। এ দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটানো, সরকারি অর্থ তছরুপের পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং তদন্ত সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের স্বার্থে কারণে নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীনকে তার দাপ্তরিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
নিদের্শনার পত্রে বলা হয়, ‘নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগে বিল-ভাউচারে অসম্পূর্ণতা ও পিপিআরের সাথে অসামঞ্জস্যতা নিরীক্ষণ ও বিধিগত ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম চলাকালীন সময় এবং কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম স্বাধীনভাবে নিষ্পত্তির স্বার্থে পত্র প্রাপ্তির পর থেকে দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে নির্বাহী প্রকৌশলীকে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার সালমান খান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই বিষয়ে চিঠি গত মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দেয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে যাওয়ায় তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে পৌছানো সম্ভব হয়নি। রোববার তদন্ত কমিটি ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশের চিঠি নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এর আগে একটি পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে অসত্য ও এখতিয়ার বহির্ভূত এবং মানহানিকর বক্তব্য দেন নির্বাহী প্রকৌশলী মুরশীদ আবেদীন। এসব অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিষ্ট্রার সালমান খান তাকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান।
এসব বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এই অভিযোগগুলো সত্য নয়। তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।