অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে এ কে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্ত ও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। গত বছর তিনি অবসরে যান। তার আগে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে কলেজের প্রায় ৫০ কোটি টাকা নিজ হিসাবে রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
দুদকে দাখিল করা সম্পদবিবরণীতে ১০ কোটি ৯৭ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩২ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং এক কোটি ৩১ লাখ ১১ হাজার ৮৮৩ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের উৎস-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনা মডেল থানায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এর আগে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুন বরখাস্ত অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার কাছে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি করা হয়। ওই বছরের ৪ জুলাই কমিশনের সচিব বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদবিবরণী যাচাই-বাছাই করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে প্রতিষ্ঠান থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন সেলিম ভূঁইয়া। অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণট্রাস্টের কোটি কোটি টাকা লুট করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।