হবিগঞ্জে বেত ছুড়ে স্কুলছাত্রীর চোখ নষ্টের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নিরঞ্জন দেবনাথকে রক্ষাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নিরঞ্জন সদর উপজেলার যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক গতকাল শনিবার দুপুরে আকস্মিক স্কুলটি পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি দেখতে পান, হাজিরা খাতায় গত সোম ও মঙ্গলবারের ঘরে অভিযুক্ত শিক্ষক নিরঞ্জনের স্বাক্ষর। আর বুধ, বৃহস্পতি ও গতকালের ঘরে নৈমিত্তিক ছুটি লেখা। অথচ গত বুধবার নিরঞ্জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পরও কিভাবে তাঁকে নৈমিত্তিক ছুটি দেওয়া হলো তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক আব্দুন নুর। তা ছাড়া ঘটনার দিন গত রবিবার ভুক্তভোগী ছাত্রী হাবিবা আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় যান নিরঞ্জন। সেখানে পাঁচ দিন অবস্থানও করেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাজ্জাক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, গত রবিবার দুপুরে যাদবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিরঞ্জনের ছোড়া বেতের আঘাতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হাবিবার চোখের মণি গলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটিকে ঢাকায় পাঠায়। গত সোমবার তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে মেয়েটির চোখের মণি কেটে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় হাবিবার সঙ্গে ছিলেন তার মা রুবিনা খাতুন, চাচা মাহিন মিয়া ও অভিযুক্ত শিক্ষক নিরঞ্জন। হাবিবার বাবা মো. শাহিন তালুকদার দুবাইপ্রবাসী।