বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাফসান জানী নামে এক ছাত্রর উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভবনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী রাফসান ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রোববার (৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগও দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৫ মার্চ রাফসানের ডিপার্টমেন্টের ৮ম সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হওয়ায় বরিশাল নগরীর হট প্লেট রেস্টুরেন্টে রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে তাদের ব্যাচের সব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত চলে। অনুষ্ঠান শেষে তারা সবাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ১০টার দিকে পৌছায় এবং রাফসান বাস থেকে ভিসি ভবনের সামনে নামার সাথে সাথেই অতর্কিতভাবে তাকে অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ছাত্র হাফিজুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম সুমন, হাসিব শেখ সাইমুনসহ আরও ২ থেকে ৩ জন তাকে কিল ঘুষি দেয়। একপর্যায়ে হাফিজ ও সুমন তাকে বাঁশ দিয়ে কোমর ও পাঁয়ে আঘাত করে এবং বেধরক মারধর করে। এরপর সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার আগে থেকেই রাফসানকে মারধরের হুমকি দেয়া হয়েছিল।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাফসানের অভিযোগ, এর আগে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জুলাই রাতে তাকে হলের রুম থেকে ডেকে হাফিজ ও সাইমুন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মারধর করে। এই ঘটনা বিভাগকে জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
উপাচার্য বরাবর দেয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, হামলাকারীরা সকলে গণিত বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষের মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের অনুসারী।
মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ধরণের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। তাছাড়া ছাত্রলীগের কোনো কর্মী ঘটনার সাথে জড়িত নেই।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযোগটি আমরা পেয়েছি। সোমবার বিষয়টি নিয়ে আমরা বসবো।