বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। বর্ষার এ সময়টাতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সাপ দেখতে পাওয়ায় এ আতঙ্ক দেখা দেয়। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবন-২ এর নীচতলায় সাড়ে ৩ হাতের মতো লম্বা একটি সাপ দেখতে পাওয়ায় এ আতঙ্ক আরও বেড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ক্যামেরায় তোলা সাপটির ছবি এরইমধ্যে ফেসবুকের নানা গ্রুপে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ছবিতে সাপটিকে চলে যেতে যেতে ফনা তুলতে দেখা যায়।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, এটি একটি বিষধর সাপ, যাকে স্থানীয়ভাবে কালিজাত সাপ বলা হয়। আর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনের বেলায় এ সাপের দেখা মেলার পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত বছরও বর্ষার সময়ে ক্যাম্পাসে সাপ দেখা গেছে। কিন্তু এ বছর সাপের উপদ্রুবটা গতবারের থেকে বেশি। এর কারণ হিসেবে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে জঙ্গল ও জলাশয় পরিষ্কার না করাকে দায়ী করছেন।
সাড়ে ৩ হাতের মতো লম্বা সাপটিকে সরাসরি দেখতে পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘ক্লাস থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার সময় প্রশাসনিক ভবন-২ এর দিকে যাচ্ছিলাম। ভবনের নীচতলার সিড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে হঠাৎ করে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সাপটি চলে যাচ্ছিল। এতবড় সাপ দেখে ভয় পেয়ে যাই। সাপটি যাওয়ার সময় হঠাৎ ফনাও তুলেছে, ভয় পেয়ে আর বেশি কিছু করতে যাইনি।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাসে সাপের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে কাটার ঘটনা ঘটেনি। ক্যাম্পাসের ঝোপঝাড় বড় হয়ে গেছে, জলাশয় ও জোপঝাড় দীর্ঘদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে না। আর বর্ষার এ সময়টাতে গর্তে পানি থাকার কারণেই হয়তো সাপগুলো বাইরে বের হয়ে আসছে।
শফিকুল আরও জানান, আগের সাপগুলো আকারে ছোট হলেও আজ যে সাপটি দেখা গেছে তা আকারে অনেক বড়। এর আগে ক্যাম্পাসের রাস্তায় সাপ দেখা গেছে এ নিয়ে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অতিদ্রুত জলাশয় ও ঝোপ-ঝাড় পরিষ্কার করার পাশাপাশি সাপের উপদ্রুব বন্ধে কার্যকর ভূমিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেয়া উচিত। আর ক্যাম্পাস খুললে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সুব্রত কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সাপের বিষয়টি আজ সকালে আমরা জেনেছি, যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি জানান, ক্যাম্পাসে ক্লিনিং বা পরিষ্কার করার কর্মসূচি প্রতিনিয়ত চলছে। তবে বর্ষায় ঝোপ-ঝাড় বড় হতে পারে, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে।