বরুড়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, টাকা ছাড়া এই অফিসে কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এটিও) মাসুদ ইবনে হোসাইন ও কিছু দালাল শিক্ষকের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ শিক্ষকেরা জিম্মি অবস্থায় আছে। যে শিক্ষক প্রতিবাদ করে তাকেই বিভিন্নভাবে নানান অজুহাতে নাজেহাল করে।
আরেক শিক্ষক জানান, চলতি বছর ক্ষুদ্র মেরামত ঊনিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দের মধ্যে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রতি বরাদ্দে চার হাজার টাকা করে অগ্রিম কমিশন আদায় করে নেয় এই সিন্ডিকেট। আবার পঁচিশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয় এই সিন্ডিকেট। আবার সর্বশেষ এগারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার বরাদ্দের মধ্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথম দিকে রমরমা বদলি বাণিজ্য হয়েছে, বদলিকৃত বেশির ভাগ শিক্ষকদের কাছ থেকে দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষকরা।
মাসুদ ইবনে হোসাইনের গালিমপুর ও সুদ্রা ক্লাস্টারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্লিপ ও অন্যান্যে বরাদ্দের টাকা থেকে এক-দুই হাজার টাকা কমিশন গ্রহণ করেন বলে জানান ওই দুই ক্লাস্টারের বিভিন্ন শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ ইবনে হোসাইন জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য বলেন।