বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামি বনী আমিনকে ঘটনার ৪ দিন পরও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে, তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মানববন্ধন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে, গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ কমিশনার ও ভিসি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে নারী শিশু নির্যাতন ও সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি। তবে পুলিশের দাবি তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১টায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে বরিশাল কুয়াকাটা আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বনী আমিনকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। একইসাথে চাকরি থেকে বরখাস্তের দাবি জানানো হয়। এর আগে নারী শিশু নির্যাতন ও সাসাজিক অনাচার প্রতিরোধ কমিটি বনী আমিনের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও ভিসি বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সাথে সাক্ষাত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান সংগঠনের নেতারা। এসময় পুলিশের উপ কমিশনার (সদর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বনী আমিন যে দলেরই হোক, তাকে অপরাধী হিসেবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, বনী আমিনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে কুয়াকাটায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে এক রাত অবস্থানের পর ঝালকাঠি এক আত্মীয়ের বাসায় পৌঁছে দিয়ে সটকে পরে বনী আমিন।
এই ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বিমান বন্দর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। উদ্ধারের পর ওই ছাত্রী ধর্ষণের কথা জানিয়েছে পুলিশকে। বনী আমিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি।