বহুমাত্রিক শিক্ষার সুফল - Dainikshiksha

বহুমাত্রিক শিক্ষার সুফল

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী |

একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন নির্ভর করে তার শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। আবার শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যদিও প্রযুক্তি ছাড়াও শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যান্য বিষয়ের অবদান অস্বীকার করা সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর কলা- সব ক্ষেত্রেই একটি যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে বহুমাত্রিক শিক্ষাকে প্রভাবিত করেছে। সময়ের প্রয়োজনে একজন প্রযুক্তিবিদকে মনোবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আর অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিতে হচ্ছে। আবার একজন অর্থনীতিবিদকে প্রযুক্তিবিদ্যা, বিজ্ঞান, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হচ্ছে।

এর কারণ হচ্ছে, শিক্ষা বর্তমানে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আবদ্ধ নেই, বরং তা বহুমাত্রিক ও সর্বজনীন রূপ লাভ করেছে। বহুমাত্রিক শিক্ষা হল প্রথাগত শিক্ষার বাইরেও শিক্ষার অন্যান্য শাখা বা ক্ষেত্র সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান অর্জন করা। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষা অর্জনকারী ব্যক্তিদের জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে কোনো লক্ষ্য অর্জন করাও বহুমাত্রিক শিক্ষার অংশ। এ ক্ষেত্রে স্বশিক্ষার বিষয়টিও সরাসরিভাবে যুক্ত।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রথাগত শিক্ষা মূলত আইন বিষয়ে হলেও এ জ্ঞানের মধ্যেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক শিক্ষায় নিজের যোগসূত্র গড়ে তুলেছিলেন। গান্ধীজি ছিলেন বহুমুখী লেখক ও সম্পাদক। যদিও এগুলো তার প্রথাগত শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এক অর্থে তাকে দার্শনিকও বলা যায়। কারণ তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যার ওপর ভিত্তি করে অহিংস দর্শন গড়ে উঠেছিল। একজন তাঁতীর মতো তিনি নিজ হাতে কাপড় বুনতেন। এর অর্থ হচ্ছে তাঁত শিক্ষাতেও তিনি দীক্ষিত হয়েছিলেন।

এখানে মনে হতে পারে তার মতো একজন মানুষের তাঁতের কাপড় বোনার যথার্থতা আছে কিনা। কিন্তু এখানেও একটি বিষয় কাজ করেছিল যা হল, এর মাধ্যমে তিনি ভারতের গ্রামীণ শিল্প পুনরুজ্জীবনের প্রয়াস চালিয়েছিলেন। এ ছাড়া শিল্পায়ন ছাড়া যে রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি সম্ভব নয়, তার এই কাজের মাধ্যমে তিনি এ বার্তাটি ভারতবর্ষের মানুষের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

মূলত আজকের দিনে শিক্ষার বহুমাত্রিকতার প্রয়োজনীয়তা এখানেই। কারণ মানুষ কখনও একটি স্থিরবিন্দুতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। বিন্দু থেকে বৃত্ত ও বৃত্ত থেকে মহাবিশ্ব এই দর্শন যদি শিক্ষায় প্রবর্তন করা না যায়, তবে শিক্ষার লক্ষ্য অর্জিত হয় না। শিক্ষার বহুমাত্রিকতা ও তাকে গ্রহণ করার প্রবণতা যদি সৃষ্টি করা না যায়, তাহলে মানুষের মধ্যে উদারতা, উন্নত চিন্তা, সর্বজনীনতা, মানবিক মূল্যবোধ, সৃষ্টিশীলতা গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর অর্থ এই নয় যে, একজন মানুষকে শিক্ষার সব ক্ষেত্রেই অবদান রাখতে হবে বরং সে যে শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে প্রথমত তাকে সেই শিক্ষার ধারাকে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগের মতো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আর এর মাধ্যমে বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষাকে প্রয়োগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে সমাদৃত করার কৌশল গ্রহণ করতে হবে।

সে ক্ষেত্রে শিক্ষার অন্য ক্ষেত্রগুলোও যে এর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যোগসূত্র তৈরি করে, সেই ধারণাও তার মধ্যে থাকতে হবে। আর সেটি করার জন্য কেউ যে বিষয়েই শিক্ষা লাভ করুক না কেন, তার শিক্ষা বিকাশের জন্য সেটি যে অন্য শিক্ষার ক্ষেত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত, তা বোঝার ও জানার জন্য তার মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। এটি সম্ভব হবে তখনই যখন শিক্ষা ব্যবস্থায় বহুমাত্রিকতার বিষয়টি মানুষকে বোঝানোর জন্য দৃষ্টান্তের মাধ্যমে পাঠ্যসূচি ও পাঠক্রম প্রণীত হবে। আরেকটি বিষয় হল, মানুষ যখন ক্ষুধার্ত হয় তখন যেমন সে নিজ থেকেই খাদ্যের সন্ধান করে, তেমনি তার শিক্ষার বিকাশ ও উৎকর্ষের মাধ্যমে এটি কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগের জন্য শিক্ষার বহুমাত্রিকতার গুরুত্ব অনুধাবন করতেও সমর্থ হবে। এখানে সেলফ মোটিভেশনের বিষয়টি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলমের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও বায়োটেকনোলজির একদল তরুণ গবেষক আবিষ্কার করেছেন পাটের জন্মরহস্য। আইসিডিডিআর’বির মলিকুলার জেনেটিক বিভাগের প্রধান ড. শাহ এম ফারুক ও তার সহকর্মী বিজ্ঞানীরা কলেরার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন। বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ড. জন ম্যাকালেনোস এ গবেষণায় সহযোগিতা করেন। শুভ রায় মাইক্রো ইলেকট্রো মেকানিক্যাল সিস্টেম টেকনোলজি ডেভেলপিং স্পেশালিস্ট। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল অব ফার্মাসি অ্যান্ড মেডিসিনের বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড থেরাপিউটিক সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। কয়েক বছর আগে ৪০ জন সহকর্মী নিয়ে কৃত্রিম কিডনি তৈরির কাজ শুরু করেন। গত তিনটি বছর নিবিড়ভাবে এ কাজে সময় ব্যয় করেছেন তিনি এবং তার গবেষক দল। পরবর্তীকালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দলটি ঘোষণা দেয়, তারা কৃত্রিম কিডনি তৈরি করে তা প্রাণীর দেহে প্রতিস্থাপন করে সফল হয়েছে। এই আবিষ্কারগুলোর পেছনে কাজ করেছেন বাঙালিরা আর বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু প্রতিটি আবিষ্কার সফল হয়েছে বহুমাত্রিক ব্যক্তিদের বহুমাত্রিক শিক্ষা ও চিন্তার অগ্রসরমান অবদানের মাধ্যমে। এটি মূলত বহুমাত্রিক শিক্ষারই অবিচ্ছেদ্য অংশ।
রবীন্দ্রনাথকে যদি কেবল একজন কবি হিসেবে চিন্তা করা হয়, তবে সেটি হবে ভুল একটি ভাবনা। শিক্ষার বহুমাত্রিকতা তার মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। আবার উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যেমন তিনি উদ্ভাবনের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছেন, তেমনি একজন মানুষের বহুমাত্রিকতা অথবা কিছু বা অনেক মানুষের বহুমাত্রিক চিন্তাধারা সম্পৃক্ত করে জ্ঞানকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যার উদ্ভাবন চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য কাজ বিদ্যার উৎপাদন, তার গৌণ কাজ সেই বিদ্যাকে দান করা। বিদ্যার ক্ষেত্রে সেসব মনীষীকে আহ্বান করতে হবে যারা নিজের শক্তি ও সাধনা দিয়ে অনুসন্ধান, আবিষ্কার ও সৃষ্টির কাজে নিবিষ্ট আছেন। মনীষীদের একক কিংবা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জ্ঞানের ভিন্নমুখী উৎস একটি কেন্দ্রবিন্দু থেকে উৎসারিত হতে পারে। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষার সঙ্গে দেশের সর্বাঙ্গীন জীবনযাত্রার মেলবন্ধন চেয়েছেন।

শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে অ্যারিস্টটলের শিষ্য ছিলেন আলেকজান্ডার। অ্যারিস্টটল তাকে চিকিৎসাবিদ্যা, দর্শন, নীতি, ধর্ম, তর্কবিদ্যা, কলাসহ বহুমাত্রিক শিক্ষায় দীক্ষা প্রদান করেন। এভাবে একজন ব্যক্তির শিক্ষার বহুমাত্রিকতা আরেকজন ব্যক্তির মধ্যে ট্রান্সফরমেশন বা সম্প্রসারিত হয়, যা আলেকজান্ডার তার সমরনীতির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে সফলতা পান। বহুমাত্রিক এই শিক্ষার কারণে সংস্কৃতির প্রতি আলেকজান্ডার আকৃষ্ট হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এর বিস্তারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ এখানে বিস্তার অর্থ সম্প্রসারণ। এ বিষয়টিকে দু’ভাবে চিন্তা করা যেতে পারে। একটি হচ্ছে শিক্ষাকে তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছানো আরেকটি হচ্ছে সম্প্রসারণশীল শিক্ষা, যা মানুষের মধ্যে বহুমুখী চিন্তাধারা তৈরিতে সক্ষম হবে। বহুমাত্রিক শিক্ষার প্রসারে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ‘বহুমাত্রিক শিক্ষা কেন্দ্র’ গঠন করা যেতে পারে, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা তাদের নিজেদের ক্ষেত্রের সঙ্গে অন্য শিক্ষা ক্ষেত্রের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গবেষণা করবে এবং রাষ্ট্র গঠন ও উন্নয়নে তা প্রয়োগ করবে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা পরস্পরের সঙ্গে গ্রুপ ডিসকাশনের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বহুমাত্রিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটাতে পারেন, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কনফারেন্সের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

এ জন্য এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি ইন্টারঅ্যাকশন ক্লাসের’ প্রচলন করা যেতে পারে। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার বহুমাত্রিকতাকে আনন্দের উপকরণ হিসেবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন পাঠ্যপুস্তকের বাইরে শিশুরা যা জানছে ও বোঝার চেষ্টা করছে সেসব বিষয়ে তারা একে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। এটা অভিনয়, ছড়া-আবৃত্তি, কাগজের উড়োজাহাজ, নৌকা, ফুল তৈরি হতে পারে, নাচ ও গান হতে পারে, গল্প বলা হতে পারে অথবা অন্য যে কোনো বিষয় সম্পর্কে হতে পারে। সপ্তাহে অন্তত একদিন এ ধরনের আনন্দপূর্ণ জ্ঞানচর্চা বহুমাত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশের দ্বারকে উন্মোচিত করতে পারে।
উন্নত রাষ্ট্র গঠনেও শিক্ষার বহুমাত্রিক ধারণা প্রয়োগ করা যেতে পারে। যেমন সরকার এ ক্ষেত্রে প্রথিতযশা শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, প্রযুক্তিবিদ, রাজনীতিক, সমাজবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, শিল্প বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ, মনোস্তাত্ত্বিক ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে উন্নয়ন ও জনকল্যাণমুখী কাজকে সমন্বিত রূপরেখার মাধ্যমে এগিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। বহুমাত্রিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় নীতিমালা প্রণীত হতে পারে, যা রাষ্ট্র ও সমাজকে এগিয়ে নেবে বলে আশা করা যায়।

একটি কথা প্রচলিত আছে- এ দেশের শিক্ষাকে রাজনীতিমুক্ত করা না গেলেও রাজনীতিকে শিক্ষামুক্ত করা গেছে। কথাটা আংশিক সত্য। কারণ আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে ছাত্র রাজনীতি আছে এবং এর প্রয়োজন বর্তমান সময়েও অস্বীকার করা সম্ভব নয়। তবে তা যেন গঠনমূলক ও দেশপ্রেমের ভিত্তিতে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবে রাজনীতির মধ্যে শিক্ষার চর্চা সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিকদের মধ্যে বহুমাত্রিক শিক্ষার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে পারলে রাজনীতি আর অর্থ ও পেশিশক্তির কাছে পদানত হবে না। বরং বহুমাত্রিক শিক্ষার মাধ্যমে রাজনীতি জনকল্যাণের প্রণোদনা ফিরে পাবে। উন্নত রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নেই।

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী : অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি - dainik shiksha কলেজ পরিচালনা পর্ষদ থেকে ঘুষে অভিযুক্ত সাংবাদিককে বাদ দেওয়ার দাবি পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075979232788086