নিকলীতে একটি সেতুর অভাবে ৪০ বছর ধরে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করছেন। ইসলামপুর গ্রামের এই বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে শুরু হয়। মোট শিক্ষার্থী ২৭৬ জন। ইসলামপুর ছাড়াও বালুচর, মলাহাটি, শান্তিপুর, পূর্ব ঠেংগুইরা, সিংপুর বাজার হাটিসহ কয়েক গ্রামের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়াশোনা করে।
পঞ্চম শ্রেণির সম্রাট, সারফন ফাইন ও মারিয়া বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তারা দুই জনই পানিতে পড়ে যায়। তারা উঠতে পারলেও তাদের বইগুলো ভিজে যায়। তৃতীয় শ্রেণির ঝরণা জানায়, একবার নয়, দুইবার নয়, এক মাসের মধ্যে সে চারবার পানিতে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, কয়েকজন শিক্ষকও ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে গিয়েছিলেন। তখন তারা বিব্রত হন।
প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বলেন, কয়েকটি গ্রামসহ বর্ষার সময় বিদ্যালয়টির চারপাশে পানি থাকে। বর্ষাকালে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. আলী বলেন, মাটি ফেলে উঁচু একটি কাঁচা সড়ক করা গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
সিংপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. এমদাদুল হক ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা বলেন নির্বাচনের বৈতরণী পার হলে একটি সেতু করে দেব। নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোনো খবরই নেয় না। গত কয়েক বছর আগে স্কুল থেকে সাঁকো দিয়ে আসার সময় পানিতে পড়ে এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইসলাম উদ্দিন বলেন, এখানে যদি স্থায়ীভাবে একটি সেতু করা যেত। তবে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সুবিধা হতো। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুছাম্মত্ শাহীনা আক্তার বলেন, বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে এক বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ। খবর নিয়ে তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।