সর্বস্তরে বাংলা চালু করার জন্য প্রথমে চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় এ নিয়ম জারি করা প্রয়োজন যে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য শুদ্ধ বাংলায় লিখতে ও বলতে পারতে হবে। এই একটা নিয়ম বাস্তবায়ন করতে পারলে সর্বস্তরে বাংলা পর্যায়ক্রমে দ্রুত বাস্তবায়িত হবে। কারণ আমরা তরুণ প্রজন্মের প্রায় সবাই চাকরিমুখী এবং চাকরির জন্য আমাদের যা করতে হয় আমরা তা-ই করি এবং বেশির ভাগ প্রবীণও নিজ সন্তানদের চাকরি করতেই উৎসাহ দেন। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, চাকরির জন্য আমরা ইংরেজি বা অন্য অনেক বিষয় শিখি এবং ভাষা বিকৃতি আমরা চাকরি পাওয়ার জন্য ও রক্ষার জন্যই করি। তাই চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা হবে বাংলায় এবং কর্মক্ষেত্রে বলা ও লেখায় শুদ্ধ বাংলার ব্যবহার না করলে চাকরি চলে যেতে পারে—এই বিধান বাস্তবায়ন করতে পারলে চাকরিদাতা ও গ্রহীতা উভয়ের বাংলা ঠিক হয়ে যাবে এবং বাংলা পাবে তার যথাযথ মর্যাদা। দ্বিতীয় ধাপে গিয়ে সংস্কৃতি পরিবর্তনে যেসব বিষয় অবদান রাখে সেসব বিষয়ে শুদ্ধ বাংলার প্রয়োগ বাধ্যতামূলক করা। যেমন—চলচ্চিত্রাঙ্গনে বড় পর্দা বা ছোট পর্দায় যাঁরা কাজ করেন এবং যাঁরা জাতিকে গান উপহার দেন তাঁরা যদি নিজ নিজ অঙ্গন থেকে শুদ্ধ বাংলার গান বা চলচ্চিত্র উপহার দিলে বাংলা ফিরে পাবে হারিয়ে যাওয়া মান। কারণ নাটক, সিনেমা, গান ইত্যাদির প্রভাব দ্রুত বিস্তার করে এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ভাষার নানা রকম বিকৃতি ঘটার ক্ষেত্রে অনেক নাটক, সিনেমা, গানও দায়ী।
লেখক : আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ যুবায়ের, কল্যাণপুর, ঢাকা।