মানুষের হাতে টাকা নেই। ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা। এমন কথা সব সময় শোনা যায়। তবে এসব শুধু কথার কথা। দেশে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ শেষে কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজারে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭৫ হাজার। অর্থাত্ এক বছরে ‘কোটিপতি ক্লাবে’ নতুন করে নাম লিখিয়েছেন ৮ হাজার ২৭৬ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আমানতের হিসাব থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে ১ কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৩ হাজার ৮৩৯টি। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোটিপতি হিসাব ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩টি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৮ হাজার ২৭৬ জন। তিন মাস আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে কোটিপতির হিসাব ছিল ৭৯ হাজার ৮৭৭টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ২১১টি। এসব অ্যাকাউন্টে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৪৩ দশমিক ৩৯ শতাংশই কোটিপতিদের দখলে। তাদের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর শেষে ১ কোটি এক টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৫ হাজার ৯১৯টি। বছরের ব্যবধানে এ অঙ্কের হিসাব বেড়েছে ৬ হাজার ৬৬১টি। এর আগে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে যা ছিল ৫৯ হাজার ২৫৮টি। এছাড়া ডিসেম্বর শেষে ৫ কোটি এক টাকা থেকে ১০ কোটির মধ্যে ৯ হাজার ৪২৬ জন, ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির মধ্যে ৩ হাজার ১৮৪ জন, ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে ১ হাজার ৪৭২ জন, ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে ৯৯৭ জন, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে ৫৮৮ জন, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ২৪৬ জন এবং ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে ৩৮৪ জন আমানতকারীর হিসাব রয়েছে। গত এক বছরে ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮৪টি, যা ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিল ৩৫৮টি।
আলোচ্য সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ২৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে যা ছিল ১ হাজার ১৪৮ জন। অর্থাত্ এক বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩৫ জন।
