বাংলাদেশের বর্তমান ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে - দৈনিকশিক্ষা

বাংলাদেশের বর্তমান ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

আবরার হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও দেশ থেকে মুছে যায়নি। এত বড় বর্বর হত্যাকাণ্ডের রেশ এত শীঘ্র মুছে যাওয়ার কথা নয়। সরকার সঠিক পথেই এগুচ্ছে। আবরারের হত্যকারীদের গ্রেফতার তো করা হয়েছেই, তদুপরি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ কাজটা সারাদেশে অন্তত পাঁচ বছরের জন্য করা হলে সম্ভবত ভাল হতো। শুধু ছাত্রলীগে নয়, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছাত্র সংগঠনগুলোতেই এখন পচন ধরেছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

দেশের ছাত্র রাজনীতিতে এই পচন ধরার জন্য মূলত দায়ী জিয়াউর রহমান ও এরশাদের মতো দুই নীতিভ্রষ্ট সামরিক নেতা। এ দু’জন সামরিক নায়কই ছাত্র রাজনীতিতে লাইসেন্স-পারমিটবাজি ঢুকিয়ে, অছাত্রদের ছাত্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন হলে ঢুকিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে ছাত্র রাজনীতিতে যে বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করে গিয়েছিলেন, এখন তাই মহীরুহ হয়ে দেখা দিয়েছে।

পাকিস্তান আমলে ছাত্র-রাজনীতিকে দূষিত করার জন্য তৎকালীন গবর্নর মোনায়েম খাঁ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জন্ম দিয়েছিলেন পাঁচপাত্তুর মতো সন্ত্রাসীদের। গলায় সাপ ঝুলিয়ে সে ছাত্রাবাসগুলোত ঘুরে বেড়াত, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে বেড়াত। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ মোনায়েম খানের কায়দায় অসংখ্য পাঁচপাত্তু সৃষ্টি করেছিলেন। জিয়াউর রহমান তো একাধিক মেধাবী ছাত্রকে নানা প্রলোভনের জালে জড়িয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ও গু-ায় পরিণত করেছিলেন। জামায়াতের ছাত্রশিবির তো ট্রেনিংপ্রাপ্ত ঘাতক বাহিনী হিসেবে গড়ে ওঠে। তাদের সহযোগী হয় বিএনপির ছাত্রদল। দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টিতে এদের কোন জুড়ি ছিল না।

দেশে বিএনপি-জামায়াতের শাসন অবসান হওয়ার পর সামরিক ও সাম্প্রদায়িক শাসকদের দ্বারা সৃষ্ট ও পালিত ছাত্র নামধারী এই বিশাল দুর্বৃত্ত বাহিনী কোথায় গেল? নিশ্চয়ই হাওয়ায় মিশে যায়নি। এই বুয়েটে আগেও হত্যাকা- হয়েছে। সেবার হত্যা করা হয়েছে এক মেধাবী ছাত্রীকে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বিএনপির ছাত্রদলের দুই অংশের মধ্যে লাইসেন্স-পারমিটবাজির বন্দুকযুদ্ধ চলছিল। তাদের গুলিতে হতভাগ্য তরুণীর শোচনীয় মৃত্যু হয়েছিল। তার মৃত্যুতে সারা দেশ কেঁদেছে। কিন্তু ঘাতকেরা শাস্তি পায়নি। বিএনপি তাদের ছাত্রদলকে ঘাতকমুক্ত করার কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এরশাদের আমলে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় যখন চর দখলের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দখলের জন্য চলছে জাতীয় পার্টির ছাত্র সংগঠনের চরম সন্ত্রাস, তখন একজন প্রাজ্ঞ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী প্রস্তাব দিয়েছিলেন পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখা হোক। তারপর সাধারণ ছাত্রদের সমর্থনে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ইত্যাদি ছাত্র সংগঠন নতুনভাবে গঠিত হোক। এই সংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র এবং কার্যক্রম কেমন হবে বিচারপতি আবু সাঈদ সে সম্পর্কেও কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই প্রস্তাব দিয়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি যেন আহত সাপের লেজে পা দিয়েছিলেন। সাপ ফণা তুলেছিল। দেশময় গর্জন উঠেছিল বিচারপতি চৌধুরী গণতন্ত্র চান না, গণতন্ত্র বোঝেন না। যে ছাত্রসমাজ স্বাধীনতার যুদ্ধে অতুলনীয় অবদান রেখেছে, যাদের রয়েছে গৌরবময় অতীত, তাদের তিনি অপমান করেছেন। তাকে অবিলম্বে ছাত্র রাজীতি সম্পর্কে তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করে ছাত্রসমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিচারপতি সাঈদ অবশ্য তার প্রস্তাব প্রত্যাহার করেননি। কিংবা ক্ষমাও চাননি। তিনি তার প্রস্তাবগুলোর ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কে কার কথা শোনে? আজ দীর্ঘকাল পর আমিও যদি প্রস্তাব তুলি যে, ছাত্র রাজনীতির মঙ্গলের স্বার্থে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর বর্তমান কার্যক্রম মুলতবি রেখে ওপর থেকে নেতৃত্ব চাপিয়ে দিয়ে নয়, সাধারণ ছাত্রদের সমর্থন ও নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র সংগঠনগুলোকে পুনর্গঠন এবং তাদের কাঠামো ও গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হোক, তাহলে আমাকেও কি প্রয়াত রাষ্ট্রপতির মতো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে? আমাকে ‘গণতন্ত্রের শত্রু’ আখ্যা দেয়া হবে?

দেশের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এটা দেশের জন্য মঙ্গলজনক মনে না হলে কোন বিকল্প পন্থায় দেশের ছাত্রÑ আরও ব্যাপক অর্থে তরুণ প্রজন্মকে কি করে কলুষমুক্ত করা যায়, তার বিকল্প পথের সন্ধান যে কেউ দেখাতে পারেন। এ প্রসঙ্গে কেউ বলতে পারেন, দেশের রাজনীতিই তো এখন কলুষিত। তাই বলে দেশে রাজনীতি চর্চা মুলতবি রেখে তাকে সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে কি? তাতে দেশে গণতন্ত্র টিকবে কি? দেশকে কলুষমুক্ত করার নামে রাজনীতি চর্চা বন্ধ করার কথা তো বলেন স্বৈরাচারীরা। কথাটা সত্য। স্বৈরাচারীরা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার স্বার্থে বলেন, রাজনীতি ও রাজনীতিকরা দুর্নীতিতে জড়িত এবং এই দুর্নীতি দূর করার জন্য রাজনীতি চর্চা নিষিদ্ধ করা দরকার। প্রতিশ্রুতি দেন, দেশে দুর্নীতি ও অব্যবস্থা দূর হলেই, তারা ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবেন। তারা তা আর করেন না। বরং নিজেরা আরও ভয়ানক সন্ত্রাস ও দুর্নীতিতে জড়িত হন।

কিন্তু যারা জনগণের বন্ধু এবং যথার্থ দেশপ্রেমিক নেতা, যারা সত্যই দেশের রাজনীতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চান, তারা সর্বময় শক্তি প্রয়োগ করে অসাধু রাজনীতি বন্ধ করেন। তারপর স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এলে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফেরত দেন। প্রমাণ, ফ্রান্সের দ্য গলে। তিনি ঘুণে ধরা সংসদীয় গণতন্ত্র বাতিল করে নিজ হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে নিয়েছিলেন। বেশিদিন সেই ক্ষমতা ধরে রাখেননি। যথাসময়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছেন। দ্য গল আজ নেই। কিন্তু দ্য গলের প্রবর্তিত প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতিতেই দেশটি শাসিত হচ্ছে।

আরও প্রমাণ আছে। সিঙ্গাপুরের লী কুুয়ান, মালয়েশিয়ার মাহাথির। একচ্ছত্র ক্ষমতা হাতে পেয়েও দেশের মানুষকে তারা তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। একচ্ছত্র ক্ষমতা হাতে পেয়েও তারা দেশকে সন্ত্রাস ও দুর্নীতমুক্ত করা এবং সন্ত্রাস ও দুর্নীতির সিন্ডিকেটগুলো ভেঙ্গে দেয়ার পর ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তাই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া আজ দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন রাজনীতির উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ।

বিশ্বময় শেখ হাসিনার এখন জয়জয়কার। বলা হয় বাংলাদেশে তার রাজনীতির ও নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তিনি কি পারবেন বাংলাদেশের মাহাথির কিংবা লী কুয়ান হতে? পারবেন কি সমগ্র ক্ষমতা হাতে নিয়ে নিত্য হত্যা ও নিত্য দুর্নীতির ‘শুয়োরের খোঁয়াড়গুলো’ উচ্ছেদ করে দেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় এনে তারপর জনগণের হাতে আবার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে? যদি পারেন তাহলে দেশ বাঁচবে, শেখ হাসিনাও বাঁচবেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তিনি অর্জন করেছেন। দেশটির পচা ও ঘুণে ধরা নৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ও পুনর্গঠনও একমাত্র তার দ্বারাই সম্ভব।

দেশে ছাত্র রাজনীতি কলুষমুক্ত করার জন্য যদি তা কয়েক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়, তাহলে একইভাবে কলুষিত মূল রাজনীতিকে কেন স্থগিত রাখা হবে না এবং স্থগিত রাখা হলে গণতন্ত্র কেন বিপন্ন হবে না, এই তর্ক যারা তোলেন তাদের তর্কের জবাব আমার ওপরের বক্তব্যেই রয়েছে। যারা আরও স্পষ্টভাবে জানতে চান, তাদের জন্য আরও বিশদভাবে লিখব। তবে এখনই নয়, সময় এলে লিখব।

এখানে একটি কথা বলে রাখি, ঢাকায় ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান দ্বারা শুদ্ধি অভিযান শুরু করে শেখ হাসিনা বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছেন। এই বাঘের পিঠ থেকে নিরাপদে নামতে হলে তাকে মাহাথির কিংবা লী কুয়ান হতে হবে। আমাদের বেহায়া, আত্মবিক্রয়কারী একটি সুশীল সমাজের গণতন্ত্রের নামে গোঙানিতে কান দিয়ে তার প্রয়োজন নেই। তিনি এই অভিযানেও সাফল্য লাভ করলে এদেরই আবার স্তাবক সাজতে দেখা যাবে। এদের নির্লজ্জতার কোন তুলনা নেই।

একটি হত্যাকা-ের জন্য যদি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হতে পারে, তাহলে সারাদেশে গুম, খুন, দলবাজি, চাঁদাবাজির জন্য ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না? এখন ছাত্র-রাজনীতির মানেই হলো ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতা, মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাবাধীন বিভিন্ন সিন্ডিকেটের দেশব্যাপী ক্ষমতার দৌরাত্ম। এই সিন্ডিকেটগুলো ভেঙ্গে দিলে দুর্নীতিপরায়ণ মন্ত্রী ও এমপিদের ক্ষমতার দুর্গ ভেঙ্গে পড়বে। দেশের মানুষের জীবনে অনেকটা স্বস্তি ফিরে আসবে। মূল রাজনীতিও কলুষমুক্ত হওয়ার পথে অনেকটা এগোতে বাধ্য হবে। ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তদের কোন নীতি ও দল নেই। যখন যে দল ক্ষমতায়, সে দলে গিয়ে তারা ঢোকে। আগে এদের এক বিরাট অংশ ছিল বিএনপির হত্যা ও লুটের রাজনীতির বাহক। বিএনপি ক্ষমতা হারাতেই এরা দলে দলে ছাত্রলীগে এবং যুব লীগে ঢুকেছে।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগকে প্রথম সতর্ক করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থ্াকাকালে প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, ‘বিএনপির ছাত্রদল এখন ছাত্রলীগে ঢুকে পড়েছে।’ সৈয়দ আশরাফ শুধু এ কথাটি বলে যাননি যে, এই ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তরাই ক্ষমতাসীন কোন কোন মন্ত্রীর বা এমপির অনুচর সেজে অনেক এলাকায় বিভীষিকার রাজত্ব কায়েম করেছে। এদের সকল অপকর্মের দায় বহন করতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের প্রকৃত কর্মী ও নেতাদের। ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল অতীত আজ এই দুর্ব্ত্তদের কার্যকলাপে মলিন।

ছাত্রলীগকে তার প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং যুবলীগকে তার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত শেখ ফজলুল হক মনির আদর্শে ফিরিয়ে নিতে হবে। এই দুই আদর্শের মধ্যে কোন ভিন্নতা নেই। দুই আদর্শই অভিন্ন। এই আদর্শে যুব লীগ ও ছাত্রলীগকে ফিরিয়ে নিতে হলে কেবল শুদ্ধি অভিযানে কাজ হবে না। বর্তমানের দু’টি দলেরই কার্যক্রম কয়েক বছরের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সুস্থ ও সৎ কর্মী দ্বারা পুনর্গঠন করতে হবে। শেখ হাসিনা তো দেখেছেন, তিনি নিজে অনেক প্রার্থীর মধ্যে ছাঁটাই বাছাই করে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের মনোনয়ন দিয়েছিলেন, দু’দিন পরই তাদের তাড়াতে হয়েছে। সর্ষের ভেতর থেকে ভূত তাড়াতে হলে হোমিওপ্যাথি ডোজে কাজ হবে না।

তবে দেশে ছাত্র রাজনীতি কলুষমুক্ত হলে কেবল ছাত্রলীগ, যুবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করলে চলবে না, বুয়েটে সকল ছাত্র সংগঠনের রাজনীতি বন্ধ করার মতো সারাদেশে তা করতে হবে। নইলে মাঠে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনুপস্থিতিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের দৌরাত্ম্য আবার লাগামহীন হয়ে উঠবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ছাত্ররা এখনও রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি। এই শক্তিকে কলুষমুক্ত করা গেলে বাংলাদেশের গোটা জাতীয় রাজনীতিতেই এক আমূল পরিবর্তন আসবে। কলুষমুক্ত ছাত্র সমাজই হবে জাতীয় রাজনীতিকে সকল পতন থেকে রক্ষা করার পাহারাদার।

সম্প্রতি বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এবার যে ফাঁদে পড়েছে তা থেকে উদ্ধার পাবে না।’ এই ফাঁদ বলতে যুব লীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযোগ ও পুলিশি এ্যাকশনের দিকেই তিনি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। আমার প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের জন্য এই ফাঁদটা তাহলে পাতল কারা? মওদুদ সাহেবেরাই কি? তাহলে তার জানা থাকা উচিত, অন্যের জন্য ফাঁদ পাতলে প্রথম নিজেকেই তাতে পড়তে হয়। আওয়ামী লীগের জন্য এই পাতা ফাঁদে বিএনপিকেই কি প্রথম ডুবতে হবে না? মূর্খদের আশা ও উল্লাস তাদের জন্যই ক্ষতিকর।

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির জন্য আমার প্রস্তাবটি বিতর্কমূলক হতে পারে। অনেকের কাছে অগ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। সে জন্যই এ ব্যাপারে দেশের সকল দলের রাজনীতিকদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা কি জরুরী নয়?

লেখক: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, লন্ডন থেকে

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036921501159668